গত সপ্তাহে কলকাতায় এসে কালীপুজোর উদ্বোধন করে বিপাকে পড়েছিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান (Shakib-Al-Hasan)। বাংলাদেশের এক শ্রেণির মানুষের রোশের শিকার হতে হয়েছিল সাকিবকে। পুজো উদ্বোধনের পরেই বাংলাদেশি এই তারকা ক্রিকেটারকে কুপিয়ে খুনের হুমকি দেন সিলেটের এক যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক বাংলাদেশি নেটিজেনরা শাকিবের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মৌলবাদীদের রোশের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিলেন সাকিব। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিষয়ে সরব হন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। বিগত কিছু মাস ধরে জল্পনার শীর্ষে থাকছেন তিনি। এবার মৌলবাদীদের নিশানা করে একাধিক ট্যুইট অভিনেত্রীর।
বুধবার সাকিব প্রসঙ্গে ট্যুইট করে কঙ্গনা লিখেছেন, "মন্দিরে এত ভয় পাচ্ছ কেন? কোন কারণ আছে? কেউ বিনা কারণে ঘাবড়ে যান না, এমনকি আমরা যদি সারা জীবন মসজিদে কাটাই, তাহলেও মন থেকে রামের নাম মুছবে না। নিজের উপাসনায় বিশ্বাস নেই নাকি হিন্দু অতীত আপনাদের মন্দিরের প্রতি আকর্ষণ করে? নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন।"
क्यूँ डरते हो इतना मंदिरों से? कोई तो वजह होगी? यूँही कोई इतना नहीं घबराता, हम तो सारी उम्र मस्जिद में बिता दें फिर भी राम नाम कोई दिल से नहीं निकाल सकता, ख़ुद की इबादत पे भरोसा नहीं या अपना ही हिंदू अतीत तुम्हें मंदिरों से आकर्षित करता है? पूछो ख़ुद से.... https://t.co/on0cAWqnBI
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) November 18, 2020
কঙ্গনা আরও লিখেছেন, "যখন তাঁদের কাছে আপনার প্রশ্নের উত্তর না থাকে, তখন তাঁরা আপনার ঘর ভেঙে দেয়, আপনাকে কারাগারে পাঠায়, আপনাকে প্রতিবাদ করতে দেয় না বা আপনার ডিজিটাল পরিচয় শেষ করে দেয়। কারও ডিজিটাল পরিচয় মুছে ফেলা ভার্চুয়াল দুনিয়ায়, হত্যার চেয়ে কম নয়, এর বিরুদ্ধে নিশ্চই কঠোর আইন রয়েছে।"
When they don’t have answers to your questions they break your house, put you in jail, gag your voice or kill your digital identity. Eliminating one’s digital identity is no less than a murder in virtual world, there must be strict laws against it #BringBackTrueIndology https://t.co/tvPiWidQez
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) November 18, 2020
"নিজের দেশে ক্রীতদাসের মতো আচরণ পেয়ে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমরা আমাদের উৎসবগুলি উদযাপন করতে পারি না, সত্যি কথা বলতে পারি না এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের রক্ষা করতে পারি না। সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করতে পারি না, এই ধরনের জীবনযাপন করে লাভ কী? এমন অন্ধকারময় লজ্জাজনক ক্রীতদাসের জীবন নিয়ন্ত্রিত করার কী মানে আছে?"
Sick n tired of being treated like a slave in my own country, we can’t celebrate our festivals, can’t speak truth and defend our ancestors, we can’t condemn terrorism, what is the point of such a shameful enslaved life controlled by the keepers of darkness #BringBackTrueIndology
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) November 18, 2020
এমনকি ট্যুইটারের বিরুদ্ধে অপ্রচারের অভিযোগ তুলেছেন কঙ্গনা। তিনি বলেছেন, " জ্যাক, ট্যুইটার ও ট্যুইটার ইন্ডিয়া পক্ষপাত করে ও ইসলামিক অপপ্রচার ছড়ায়, যা খুবই হতাশাজনক। আপনারা টিলিনইক্সাইলের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করলেন কেন? তিনি আমাদের ইতিহাসের নকল ভাষ্য ফাঁস করেছিলেন বলে? আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত। সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছি যেদিন আপনাদের ভারতে নিষিদ্ধ করা হবে। আশা করি পিএমওইন্ডিয়া ট্যুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।"
@jack @Twitter @TwitterIndia your bias and Islamist’s propaganda is embarrassing, why did you suspend @TIinExile ? Because he busted fake narratives of our history? Shame on you, waiting for the day when you will be banned in India, hope @PMOIndia takes action against twitter.
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) November 18, 2020
অন্যদিকে, মুম্বই পুলিশ কঙ্গনা রানাউত এবং তার বোন রাঙ্গোলি চ্যান্ডেলকে তৃতীয় বার সমন পাঠিয়েছেন। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় 'আপত্তিকর মন্তব্য' ছড়ানোর অভিযোগে তাঁদের আগামী ২৩ নভেম্বর এবং ২৪ নভেম্বর পৌঁছাতে হবে বান্দ্রা থানায়।
এর আগে তাঁদের দু'বার সমন পাঠানো হয়েছিল। প্রথমবার, তাঁরা জানিয়েছিল যে বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। কঙ্গনা রানাউতের আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকী থানায় জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা হিমাচল প্রদেশে আছেন,যেখানে তাঁরা তাঁদের ছোট ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তুতি ও অনুষ্ঠানে ব্যস্ত রয়েছেন। এরপরে, মুম্বই পুলিশ আবারও গত ৩ নভেম্বর কঙ্গনা রানাউত এবং রাঙ্গোলি চ্যান্ডেলকে দ্বিতীয় নোটিশ জারি করেছিল এবং তাঁদেরকে ১০ নভেম্বর হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এই সমনেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।