scorecardresearch
 

Sudipta Sarkar Exclusive: জিমির পর ৩ বাঙালি অভিনেতার জন্য চিত্রনাট্য লিখছেন, জানালেন 'অপারেশন মেফেয়ার' পরিচালক সুদীপ্ত

Operation Mayfair Director Sudipta Sarkar Exclusive: বাংলার ছেলে সুদীপ্ত লন্ডনে বসে ছবির প্রযোজনাও করছেন বর্তমানে। পরবর্তী বলিউড ছবি থেকে টলিউডে নতুন কাজের পরিকল্পনা নিয়ে bangla.aajtak.in-এর সঙ্গে আড্ডা দিলেন 'অপরেশন মেফেয়ার'- পরিচালক।  

Advertisement
সুদীপ্ত সরকার ও জিমি শেরগিল (ছবি: সংগৃহীত) সুদীপ্ত সরকার ও জিমি শেরগিল (ছবি: সংগৃহীত)

গত মার্চ মাসে মুক্তি পেয়েছে সুদীপ্ত সরকার (Sudipta Sarkar) পরিচালিত নতুন হিন্দি ছবি 'অপরেশন মেফেয়ার' (Operation Mayfair)। থ্রিলারধর্মী এই ছবিতে (Thriller Movie) মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন জিমি শেরগিল (Jimmy Shergill), অঙ্কুর ভাটিয়া (Ankur Bhatias), বৈদিকা দত্ত (Vedieka Dutt), ঋতিকা ছেব্বর (Hritiqa Chheber) ও বেদান্ত সরকার (Vedant Sarkar) -র মতো শিল্পীরা। বাংলার ছেলে সুদীপ্ত লন্ডনে বসে ছবির প্রযোজনাও করছেন বর্তমানে। পরবর্তী বলিউড ছবি থেকে টলিউডে নতুন কাজের পরিকল্পনা নিয়ে bangla.aajtak.in-এর সঙ্গে আড্ডা দিলেন পরিচালক।     

 

Operation Mayfair

 

আজতক বাংলা: নতুন কাজের (অপারেশন মেফেয়ার) কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?  

সুদীপ্ত সরকার: 'অপারেশন মেফেয়ার' কয়েক সপ্তাহ আগে নেটফ্লিক্সে রিলিজ করে। তাতে দর্শকদের যথেষ্ট সাড়া মিলেছে। ছবিটি ভারত ছাড়াও ইংল্যান্ড, দুবাই আরও পাঁচটি দেশে রমরমিয়ে চলেছে।  শুধু নেটফ্লিক্সেই নয়, দিন কয়েকের মধ্যে 'মেফেয়ার' সোনি ম্যাক্সেও রিলিজ করবে। 


প্রশ্ন: কলকাতায় জন্ম ও বড় হওয়া, বর্তমানে লন্ডনের বাসিন্দা... শহরে ফিরতে ইচ্ছে করে না? 

সুদীপ্ত: লন্ডনে থাকলেও, ভারতে সঙ্গে কাজের সূত্রে যাতায়াত লেগেই থাকে। এক- দু'মাস অন্তরই মুম্বই এবং কলকাতায় যেতে হয়। আমার  বাবা- মা থেকে পরিবারের বাকি সদস্যরা এখনও কলকাতাতেই থাকেন। তাই মাটি, কৃষ্টি এবং সংস্কৃতির টানে হয়তো খুব তাড়াতাড়ি পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় ফিরে যাব লন্ডন থেকে।  

 

Operation Mayfair

 

প্রশ্ন: বিজ্ঞাপন থেকেই সূচনা, সত্যজিৎ রায়ও এভাবেই শুরু করেছিলেন...আপনার অনুপ্রেরণা কে?

সুদীপ্ত: হ্যাঁ! ঠিকই ধরেছেন। বিনোদনের জগত থেকেই আমার ছবিতে কাজ করার হাতেখড়ি। প্রথমে কিছুটা টিভি কমার্শিয়াল ও এরপর পূর্ণ দৈর্ঘের ছবি বানাতে শুরু করি। মূলত, সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিত ঘটকদের ছবি থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজে আসা। পরবর্তীতে, ঋতুপর্ণ ঘোষ, মণিরত্নম, ইমতিয়াজ আলিদের কাজ থেকেও অনুপ্রাণিত হয়েছি। 

Advertisement


প্রশ্ন: 'প্রেম কি বুঝিনি'-র পর ৭ বছর কেটে গেছে। আর বাংলা ছবি পরিচালনা করেন না কেন?

সুদীপ্ত: 'প্রেমটি কি বুঝিনি'-র পর আরও দুটি হিন্দি ছবি 'অপারেশন মেফেয়ার' এবং 'ভিক্টর' নিয়ে কাজ করতে নেমেছিলাম। কিন্তু, কোভিডের কারণে তা শেষ করতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। বর্তমানে আরও দু'তিনটি ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। যদিও, আশা করছি, খুব অল্প দিনেই আবারও বাংলা ছবি নিয়ে কাজ করতে পারব।  


প্রশ্ন: সামনে কোনও পরিকল্পনা আছে টলিউডে কাজ করার? 

সুদীপ্ত: ছবির মাধ্যমে গল্প বলা এখন আর একটি বা দুটি ভাষায় আবদ্ধ নেই। বিশেষ করে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আসার পর, সেটা আরও সহজ হয়ে গেছে। তাই, দেশ, কাল বা পাত্র নয়, এখন মাধ্যমটাই আসল। আমি একসঙ্গে একযোগে বাংলা এবং হিন্দিতে কাজ করতে চাই। 

 

Operation Mayfair


প্রশ্ন: এবার 'অপারেশন মেফেয়ার'-এ আসা যাক... এরকম একটা সিরিয়াল কিলিংয়ের গল্প বেছে নিলেন, থ্রিলারে দর্শকদের কাছে সহজে পৌঁছানো যায় বলে?

সুদীপ্ত: আমি ব্যক্তিগত ভাবে থ্রিলারধর্মী গল্প পড়তে এবং ছবি দেখতে ভালোবাসি। সেই জন্য এই গল্পটা সামনে আসায়, ছবি বানানোর কথা ঠিক করি। পাশাপাশি, অডিয়েন্স এখন ক্রাইম থ্রিলার দেখতে পছন্দ করছে। তবে, এর পিছনে সতন্ত্রভাবে কোনও বাণিজ্যিক প্ল্যানিং নেই। আমি এর আগে রোম্যান্টিক ছবি বানিয়েছি এবং আগামী ছবি সম্পূর্ণ ভাবে একটি ড্রামা। তাই এবার থ্রিলার নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। 

প্রশ্ন: জিমি শেরগিল ও বাকিদের সঙ্গে কাজের কেমন অভিজ্ঞতা হল?

সুদীপ্ত: আমি যখন গল্পটা লিখেছিলাম এবং ছবি বানানোর কথা মাথায় আসে, তখন থেকে এই ছবিতে জিমি শেরগিলকে কাস্ট করানোর ইচ্ছে ছিল। তাই স্ক্রিপ্টটা তাঁকে পাঠানোর কয়েকদিনের মধ্যে তিনি এই ছবিতে কাজ করতে রাজি হয়ে যান। একজন ডিটেক্টিভ হিসেবে, এই চরিত্রে যে পরিণত অভিনয় দক্ষতার দরকার ছিল, তা তিনি দেখিয়েছেন। জিমির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই ভাল। কারণ, নিজের কাজের বিষয়ে তিনি অত্যন্তই সিরিয়াস। যে চরিত্রে অভিনয় করেন, তার সঙ্গে কার্যত একাত্ব হয়ে যান। 

প্রশ্ন: লন্ডনে শ্যুটিংয়ের সময়ের কিছু অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করেন...

সুদীপ্ত: প্রসঙ্গত, একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, কোভিড পরবর্তী সময় এটাই ছিল প্রথম ছবির শ্যুট। তাও আবার ইংল্যান্ডে। ফলে, কাস্ট এবং ক্রু মেম্বারদের সহযোগিতা ছাড়া তা কখনও সম্ভব ছিল না। একটা ঘটনার কথা বলতে পারি। দিনটা ছিল ১৯ জুলাই। লন্ডনে ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা উঠে ৪০ ডিগ্রিতে। তার মধ্যে আউটডোরে চলছিল একটা অ্যাকশন সিন রেকর্ড করার কাজ। অথচ, এত প্রতিকূলতার মধ্যেও, সেই শট কোনও সমস্যা ছাড়াই হয়ে যায়। আমি আবারও বলব, এই ছবিটার সঙ্গে যুক্ত প্রতিটা মানুষের সহযোগিতা ছাড়া কাজ করা সম্ভব হতো না। 

 

Operation Mayfair

 


প্রশ্ন: আপনার অন্যান্য ছবি ফেস্টিভ্যালে যায়, এই ছবির ক্ষেত্রে কী ভাবছেন?

সুদীপ্ত: একজন ছবি নির্মাতা হিসেবে আমার মনে হয়, নিজের কাজ বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পাঠানো উচিত। কারণ, সেটাই একটা বড় প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে নিজের কাজ সম্পর্কে জানা যায়। সেই সঙ্গে, সেখানকার জ্যুরি সদস্যদের থেকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস পাওয়া যায়। আমি ইতিমধ্যেই আমার দুটি ছবি 'অপারেশন মেফেয়ার' এবং 'ভিক্টর' কয়েকটি  জায়গায় পাঠিয়েছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই জানতে পারব সেগুলি কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। 

Advertisement

প্রশ্ন: 'অপারেশন মেফেয়ার'-এর পর, আপনার আরও একটি হিন্দি ছবি আসছে 'ভিক্টর', এরপর পাইপলাইনে কী কী কাজ আছে বলিউডের?

সুদীপ্ত: আমার পরবর্তী ছবি 'ভিক্টর' কয়েক দিনের মধ্যেই মুক্তি পেতে চলেছে। বর্তমানে সেটি পোস্ট প্রডাকশন স্টেজে রয়েছে। অন্যদিকে, একটি ওয়েব সিরিজ এবং একটি বাংলা ছবির স্ক্রিপ্ট নিয়েও কাজ চলছে। 


প্রশ্ন: পরের ছবিতে কি কোনও বাঙালি অভিনেতাকে দেখা যাবে, বা কোনও টলিউড অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে আছে?

সুদীপ্ত: বাঙালি অভিনেতাদের সঙ্গে আমার কাজ করার ইচ্ছেটা বরাবরই রয়েছে। কারণ তাঁদের দেখেই বড় হয়েছি। শুধু তাই নয়, আমি সব সময় বাংলা ছবির জগতে কী চলছে তারও খোঁজ রাখি। এখন ওটিটি-র দৌলতে বহু বাঙালি অভিনেতাদের হিন্দিতে এবং অবাঙালি অভিনেতাদের বাংলায় কাজ করতে দেখা যায়। আমিও আশা করছি আমাদের আগামী ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করতে পারব। যদিও, এখন স্ক্রিপ্ট নিয়েই কাজ চলছে।

 

Advertisement