সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) মামলায়, দীর্ঘদিন পর দেখা যাচ্ছে একটি নয়া মোড়। সুশান্তের দিদিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর নিয়ে বোম্বে হাইকোর্টে রায় ঘোষণা হবে বুধবার। সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)। তাঁর দাবি, প্রিয়াঙ্কা দিল্লির এক চিকিৎসকের সাহায্যে সুশান্তের জন্যে একটি জাল প্রেসক্রিপশন তৈরি করেছিলেন এবং সেই ভিত্তিতে সুশান্তকে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল।
আদালতের রায়ের আগে রিয়ার আইনজীবীর বক্তব্য
এই ক্ষেত্রে মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে এবং আদালতে জানিয়েছে যে তারা এই পদক্ষেপটি নিতে বাধ্য ছিল। মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং এবিষয়ে আদালতও বড় রায় দিতে পারে। এদিকে রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মনশিন্দে একটি বড় কথা বলে বিবৃতি জারি করেছেন। রিয়ার আইনজীবী তাঁর অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে সুশান্তের দিদিরা চিকিৎসকদের দিয়ে একটি চিঠি তৈরি করিয়েছিলেন। বিবৃতিতে রিয়ার দায়ের করা এফআইআর-ও ন্যায়সঙ্গত হয়েছে। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে- সুশান্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খেতে পারতেন না কোনো ভাবেই। সুশান্ত তাঁর দিদিকেও এ সম্পর্কে জানিয়েছিল। এ কারণে সুশান্তের দিদি একজন বড় চিকিৎসকের সহায়তায় জাল প্রেসক্রিপশনের ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই চিকিৎসক কোনো মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নন। বিনা পরামর্শে ওষুধ দেওয়া এনডিপিএস (NDPS)আইনের মধ্যে পড়ে। একই সঙ্গে বলা হয়েছিল যে সুশান্তের নাম ওপিডিতে নিবন্ধিত ছিলেন যখন তিনি মুম্বইয়ে ছিলেন।
রিয়া এই কারণে সুশান্তকে ছেড়ে চলে যায়
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে,সুশান্তের পরিবার জানতেন যে তিনি মাদক সেবন করেন। তিনি আরও বুঝতে পেরেছিলেন যে অভিনেতা মুম্বইয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সতীশ মানশিন্দে বলছেন- সুশান্ত মুম্বইয়ের ৫ জন চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা করছিলেন। তাঁকে সাবধান করা হয়েছিল যে তিনি যেই সব ধরণের মাদকদ্রব্য সেবন ক্রেন,তা থেকে দূরে থাকতে। তবে সুশান্ত রিয়ার কথা শুনছিলেন না এবং তাই অভিনেত্রী বাধ্য হয়ে সুশান্তের বাড়ি ছেড়েছিলেন।
সতীশ মানশিন্দে আত্মবিশ্বাসী যে দেশ জানতে পারবে কে আইনকে অনুসরণ করেছে এবংকে করেননি। এর আগেও সতীশ, রিয়াকে সমর্থন করেছেন এবং তিনি তাঁর মক্কেলকে বাঁচাতে সব রকম চেষ্টা করছেন।