বারবার হুমকি চিঠি পাচ্ছেন বলিউডের দাবাং অভিনেতা সলমন খান (Salman Khan)। তবে এবার যেটা পেয়েছেন তাতে সরাসরি তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া না হলেও ঝটকা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেই ঝটকা ঠিক কেমন সে বিষয়ে না গিয়ে পুলিশ সল্লু মিঞার নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিলেন। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে সলমন খান তাঁর অফিসিয়াল ই-মেলে এই হুমকি চিঠি পান। এরপরই এই নিয়ে ব্রান্দ্রা পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করার পরই অভিনেতার বাড়ি গ্যালাক্সিতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রবিবার রাতভর চলে পুলিশের টহলদারি।
এই ইমেল পাঠানো হয় মোহিত গর্গ নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে। ইমেলটি যে সরাসরি সলমন পড়বেন না, তা বুঝেই লেখা হয়েছে। ইমেলে প্রেরক যা লিখেছেন তার আক্ষরিক অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘গোল্ডি ভাই (গোল্ডি ব্রার) কথা বলতে চায় তোর বস সলমনের সঙ্গে। কিছু হিসাব চোকাতে হবে। কথা বলিয়ে দিস। কথা হবে মুখোমুখি। সেটা বলে দিস। এখনও হাতে সময় আছে। তাই মনে করিয়ে দিলাম। সময় পেরিয়ে গেলে আর মনে করাবো না। তখন শুধু ঝটকা দেব।’ যদিও সেই ঝটকা কেমন হবে তার কোনও আভাস পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সলমান খানকে গ্যাংস্টারের হুমকি, দেখা না করলে পরিণতি হবে....
এরপরই সলমনের ম্যানেজার প্রশান্ত গুঞ্জলকর বান্দ্রা পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং সলমন খানের নিরাপত্তাকে মাথায় রেখে বান্দ্রা পুলিশের পক্ষ থেকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ (২), ১২০ (বি) ও ৩৪ ধারায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার ও রোহিত ব্রারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অভিনেতার বাড়ির বাইরের পাহারা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রবিবার গোটা রাত জুড়ে সলমন খানের গ্যালাক্সির বাইরে পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Anupam Kher: শান্তিনিকেতনে আমন্ত্রণ, 'কোই মাই কা লাল...' হুঁশিয়ারি অনুপম খেরের
তবে এই প্রথমবার সলমন খান হুমকি চিঠি পেয়েছেন এমন নয়। এর আগেও লরেন্স বিষ্ণোই অভিনেতাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে, জেলে বসেই লরেন্স বিষ্ণোই দাবী করেছিল যে সলমন খানকে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন সলমন খান। বিষ্ণোইয়ের দাবী ছিল যে সলমন যেন গোটা বিষ্ণোই জাতির কাছে ক্ষমা চান। কালো হরিণ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সলমনের ওপর লরেন্স বিষ্ণোই ছোট থেকেই রেগে ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সিধু মুসেওয়ালা হত্যা মামলায় ইতিমধ্যেই জেলবন্দি লরেন্স। তবে তারপরও হুঙ্কার থামেনি তার।