হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন সময়। এরপরই টেলিপাড়ায় বিয়ের সানাই বাজতে চলেছে। বৈশাখেই চারহাত এক হবে আদৃত-কৌশাম্বির। মে মাসের ৯ তারিখে সাতপাকে ঘুরবেন টেলিপাড়ার এই চর্চিত জুটি। এই মুহূর্তে দুই বাড়িতেই বিয়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে। বিয়ের খবরে সিলমোহর দিয়েছেন কৌশাম্বি নিজে। যদিও আদৃত এখনও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কিন্তু কীভাবে শুরু আদৃত-কৌশাম্বির লাভস্টোরি?
আদৃত কৌশাম্বির আগে সম্পর্কে ছিলেন সুপ্রিয়া নামে একজনের সঙ্গে। সুপ্রিয়া-আদৃতের বিয়েও প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই সেই সম্পর্ক ভাঙে এবং সুপ্রিয়া বিয়েও করে নেন। মিঠাই সিরিয়াল করতে গিয়েই কৌশাম্বি ও আদৃতের আলাপ। এই সিরিয়ালে সিদ্ধার্থ মোদকের পিসতুতো দিদির ভূমিকায় অভিনয় করেন কৌশাম্বি। পর্দায় আদৃত কৌশাম্বিকে দিদিয়া বলে ডাকতেন। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের সম্পর্কটা মোটেই দিদি-ভাইয়ের নয়। বরং তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁদের এই ঘনিষ্ঠতা নজর এড়ায়নি কারোরই। নিজেদের খুব ভাল বন্ধু বলেই দাবি করতেন এই জুটি। এই ভাল বন্ধুত্বই ক্রমে ভালোবাসায় পরিণতি পায়। কিন্তু আদৃত বা কৌশাম্বি কেউই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কোনওদিন প্রকাশ্যে কোনওকিছু স্বীকার করেননি। তবে এদিক-ওদিক এই জুটিকে প্রায়ই দেখা যেত।
সুপ্রিয়ার সঙ্গে প্রেম নিয়েও আদৃত কোনওদিন সরাসরি মুখ খোলেননি, তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে এমনটাও শোনা গিয়েছিল আদৃত নাকি এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চাননি। সময় চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রেমিককে নিয়ে পজেসিভ সুপ্রিয়া বিয়ে করে নিতে চেয়েছিলেন। এমনকি একটা সময় তো ঘনঘন মিঠাইয়ের শ্যুটিং সেটে আসতে দেখা যেত তাঁকে। এই সবকিছু মেনে নিতে পারছিলেন না আদৃত, সেই থেকেই দূরত্ব তৈরি হয় দুজনের। আর সেই সুযোগেই কৌশাম্বি কাছাকাছি আসেন আদৃতের।
আদৃত-কৌশাম্বির বিয়ের কার্ডও এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল। আদৃতের এক ফ্যানক্লাবের পক্ষ থেকে এই কার্ড সোশ্যালো পোস্ট করা হয়। তারপর থেকেই তাঁদের বিয়ের কার্ড ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যালে। প্যাস্টেল শেডের উপর ছিমছাম বিয়ের কার্ড। নিচে লেখা, 'কৌশাম্বি ওয়েডস আদৃত'। যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে, কনের বাড়ির তরফে এই বিয়ের কার্ড ছাপানো হয়েছে। সম্প্রতি মিঠাই-এর মোদক পরিবারের সব সদস্যেরা একজোট হয়েছিলেন নববর্ষের আড্ডার জন্য। যদিও সেখানে সবাই উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না সৌমিতৃষা ওরফে মিঠাই। তবে তাঁর অনুপস্থিতির জন্য মিঠাই পরিবারের জমজমাটি আনন্দ একটুও ম্লান হয়নি।