scorecardresearch
 

যেন ক্রাইম মুভি! চলছে পার্টি, হঠাত্‍ আরিয়ানের সামনে NCB আধিকারিকরা

মুম্বইয়ে রেভ পার্টিতে মাদক (Mumbai Rave Party Drug Incident) ঘটনায় উঠে আসছে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য। NCB কর্মকর্তারা রবিবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ছেলে আরিয়ান খান-সহ (Aryan Khan) মোট ৮ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। আদালতে অভিযুক্তদের একদিনের হেফাজতও হয়। অভিযানের আগে এনসিবি জানতে পেরেছিল ক্রুজ জাহাজে একটি ড্রাগ পার্টি হতে চলেছে, তার পরে তাদের অফিসাররা ক্রুজের টিকিট কেটে সেখানে হানা দেন, যাঁদের দেখে বোঝার উপায় ছিল না কারণ তাঁরা পার্টিতে এসেছিলেন সাধারণ ভেক ধরে। 

Advertisement
শাহরুখ খান ও আরিয়ান খান শাহরুখ খান ও আরিয়ান খান
হাইলাইটস
  • অভিযানের আগে এনসিবি জানতে পেরেছিল ক্রুজে একটি ড্রাগ পার্টি হতে চলেছে
  • তার পরে তাদের অফিসাররা ক্রুজের টিকিট কেটে সেখানে হানা দেন
  • , ক্রুজে কোনও রুমও বুক করা না হলেও এই পার্টির আয়োজক আরিয়ান খান এবং আরবাজ মার্চেন্টের জন্য আলাদা রুম বুক করা হয়

মুম্বইয়ে রেভ পার্টিতে মাদক (Mumbai Rave Party Drug Incident) ঘটনায় উঠে আসছে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য। NCB কর্মকর্তারা রবিবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ছেলে আরিয়ান খান-সহ (Aryan Khan) মোট ৮ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। আদালতে অভিযুক্তদের একদিনের হেফাজতও হয়। অভিযানের আগে এনসিবি জানতে পেরেছিল ক্রুজে একটি ড্রাগ পার্টি হতে চলেছে, তার পরে তাদের অফিসাররা ক্রুজের টিকিট কেটে সেখানে হানা দেন, যাঁদের দেখে বোঝার উপায় ছিল না কারণ তাঁরা পার্টিতে এসেছিলেন সাধারণ ভেক ধরে। 

NCB- আরও জানিয়েছে, রেভ পার্টির চলাকালীন সেখানে প্রায় ১৩০০ থেকে ১৪০০ জন উপস্থিত ছিল। এতজনের ভিড়ে মাত্র ৮, ১০ জনকেই খুঁজছিল এনসিবি বাহিনী। কিন্তু শুধু একজনকেই খোঁজার কারণ কী? সূত্রের আরও খবর, তাদের কাছে আরিয়ান খানের নামও ছিল। আরিয়ান এবং আরবাজ মার্চেন্টের ওপর নজর রাখার জন্য পৃথক এনসিবি অফিসার রাখা হয়েছিল।

সূত্র অনুযায়ী, ক্রুজে কোনও রুমও বুক করা না হলেও এই পার্টির আয়োজক আরিয়ান খান এবং আরবাজ মার্চেন্টের জন্য আলাদা রুম বুক করা হয়। পার্টির সময় তাঁরা দু'জন ওই রুমে প্রবেশ করতে গেলে হঠাৎ এনসিবি কর্মকর্তারা তাদের দু'জনের সামনে আসেন এবং উভয়কেই ভিতরে যেতে বাধা দেন। তল্লাশির সময় আরিয়ান খানের কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি, কিন্তু আরবাজ মার্চেন্টের জুতোর ভিতর থেকে চরস উদ্ধার করা হয়।

এর পরে, এনসিবি কর্মকর্তারা তাঁদের উভয়ের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করে। তাদের তদন্তের সময় কিছু চ্যাটও উঠে আসে, যেখানে দুজনেই চরস নেওয়ার কথা লিখেছিলেন। এনসিবি আরিয়ানের জবানবন্দিও রেকর্ড করেছে, যাতে তিনি এজেন্সির কর্মকর্তাদের একই কথা বলেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এনসিবি আরও জানতে পেরেছে যে আরিয়ান খান এবং আরবাজ মার্চেন্ট মাদক বিক্রেতার সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখতেন, যাদের খোঁজ চালাচ্ছে এনসিবি।

Advertisement

হেফাজতে আরও এক মাদক ব্যবসায়ী

মামলার তদন্তে নিয়োজিত এনসিবির সদস্যরা আরেকটি সাফল্য অর্জন করেছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সোমবার এই বিষয়ে আরও তথ্য প্রকাশ করতে পারে। এই মামলায় আরও অনেককে গ্রেফতার করা হতে পারে।

Advertisement