মরশুমের প্রথম বৃষ্টি। গোটা রাজ্যের সঙ্গে কলকাতাতেও মুষলধারায় বৃষ্টি হল, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরবাসী স্বস্তি পেল তীব্র দাবদাহ থেকে। তবে বৃষ্টি যেমন শান্তি দিল তেমনই শহরের অধিকাংশ এলাকাতেই দেখা গেল জল জমে গিয়েছে। বিশেষ করে শহরের নীচু এলাকাগুলোতে। আর সেই জল জমা রাস্তাই বিপদে ফেলল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন ঋতু নিজেই।
ঋতুপর্ণা যে ভিডিও শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে ঋতুপর্ণা একটি গাউন টাইপের ড্রেস পরে রয়েছেন, শরীরের ওপরে জড়ানো শাল। ড্রেসটি হাঁটুর ওপর পর্যন্ত উঠিয়ে নোংরা জল পেরিয়ে হেঁটে আসছেন। তিনি যে শ্যুটিং করে ফিরছেন তা বুঝতে দেরি লাগবে না কারোর। টিমের এক সদস্য ঋতুর পোশাক সামলাচ্ছেন, অন্য একজন অভিনেত্রীর হাত ধরে তাঁকে জল পেরোতে সাহায্য করছেন। এরপরই অভিনেত্রী তাঁর গাড়িতে উঠে যান। এই ভিডিও শেয়ার করে ঋতু ক্যাপশনে লিখেছেন, শ্যুটিং প্যাক আপের পর...গতকালের জলজমা রাস্তা!! প্রথম বৃষ্টি।
ঋতুপর্ণার এই ভিডিও শেয়ারের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকারকে ট্রোল করতে শুরু করে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই লেখেন, রাজ্যে তৃণমূলের কারণে সুন্দর উন্নয়ন হয়েছে। আবার অনেকে ঋতুদিকে উল্লেখ করে লেখেন, তোমার দিদির উন্নয়ন। আবার অনেকে লেখেন, দেখ খুলে তোর দু নয়ন রাস্তা জুড়েই শুধুই উন্নয়ন। প্রসঙ্গত, গরমের দাপটে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা হয়েছিল। মরশুমের প্রথম বৃষ্টিতে অনেক তারকাকেই ভিজতে দেখা গিয়েছে। তবে ঋতুপর্ণার সেই সুযোগ ছিল না। কারণ তিনি সেই সময় শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’ ছবিটির শ্যুটিং চলছে। সেই শ্যুটিংয়েই ব্যস্ত এখন অভিনেত্রী। এই ছবিতে ঋতুর সঙ্গে দেখা যাবে রাহুল বসু ও কৌশিক সেনকে। কলকাতা শহরের আনাচে কানাচে চলছে এই ছবির শ্যুটিং। এই ছবিতে প্রথমবার গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋতুপর্ণা। তিনিই এখানে 'ম্যাডাম সেনগুপ্ত'। এই ছবির পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। ঋতুপর্ণার সঙ্গে রাহুলকে অনুরণন ছবিতে দেখা গিয়েছিল। ২৪ বছর পরে আবার ঋতুর সঙ্গে ছবি করছেন অভিনেতা। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের অযোগ্য, যেটি তাঁর ও প্রসেনজিতের ৫০তম জুটির ছবি হতে চলেছে। অপরদিকে, চিরঞ্জিতের সঙ্গে দাবাড়ু ছবিতে দেখা যাবে ঋতুপর্ণাকে।