scorecardresearch
 

Dadagiri 10: 'দাদা-বৌদি' বিরিয়ানি তো খান, সেই দাদা-বৌদিকে চেনেন? ফাঁস হল 'দাদাগিরি'র মঞ্চে

Dadagiri 10: ব্যারাকপুরের দাদা-বৌদির বিরিয়ানির নাম শোনেননি এমন মানুষের সংখ্যা মনে হয় খুবই কম। দেশজোড়া খ্যাতি দাদা-বৌদির বিরিয়ানির। ব্যারাকপুর বাদে সোদপুর, মধ্যমগ্রাম সহ একাধিক জায়গাতে ব্র্যাঞ্চও খুলে ফেলেছে তারা। কিন্তু যাঁদের বিরিয়ানি নিয়ে এত চর্চা, সেই দাদা-বৌদি কারা জানেন? কেনই বা এমন নাম।

Advertisement
দাদাগিরি ১০ দাদাগিরি ১০
হাইলাইটস
  • ব্যারাকপুরের দাদা-বৌদির বিরিয়ানির নাম শোনেননি এমন মানুষের সংখ্যা মনে হয় খুবই কম।

ব্যারাকপুরের দাদা-বৌদির বিরিয়ানির নাম শোনেননি এমন মানুষের সংখ্যা মনে হয় খুবই কম। দেশজোড়া খ্যাতি দাদা-বৌদির বিরিয়ানির। ব্যারাকপুর বাদে সোদপুর, মধ্যমগ্রাম সহ একাধিক জায়গাতে ব্র্যাঞ্চও খুলে ফেলেছে তারা। কিন্তু যাঁদের বিরিয়ানি নিয়ে এত চর্চা, সেই দাদা-বৌদি কারা জানেন? কেনই বা এমন নাম। এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল দাদাগিরির মঞ্চে।  

সম্প্রতি দাদাগিরি-এর মঞ্চে এসেছিলেন দাদা-বৌদি বিরিয়ানির স্রষ্টা। অর্থাৎ আসল দাদা ও আসল বৌদি। ধীরেন বাবু ও তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যার হাত ধরেই দাদা-বৌদি বিরিয়ানির পথচলা শুরু হয়। আর দাদাগিরিতে সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই গল্পই ভাগ করে নেন তাঁরা। দাদাগিরি মঞ্চ থেকেই জানা যায় যে দাদা-বৌদির বিরিয়ানি শুরু হয় ১৯৭৫ সালে। কিন্তু কেন বিরিয়ানির নাম দাদা-বৌদি? সৌরভের কাছে সেই কাহিনি বলতে গিয়ে চোখে জল আসে ধীরেনবাবুর। তিনি জানান, সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লেই চোখে জল আসে। তাঁরা সবসময় সৎ পথে থেকেছেন এবং মানুষকে ভালোবেসেছেন। মানুষই তাঁদের ভালোবেসে দাদা-বৌদি নাম দিয়েছেন। তবে সৌরভের আক্ষেপ দাদা-বৌদির বিরিয়ানি দক্ষিণ কলকাতার কোথাও নেই, অথচ দাদা নিজেই বিরিয়ানি ভক্ত। 

এরপরই সৌরভ দাদা-বৌদি বিরিয়ানির মালিককে জিজ্ঞাসা করেন যে রোজ কত প্লেট ও কত টাকার বিরিয়ানি বিক্রি হয়? ধীরেনবাবু জানান যে এখন সেটা লক্ষাধিক টাকায় পৌঁছে গিয়েছে অর্থাৎ রোজ এক লক্ষ টাকার বিরিয়ানি বিক্রি হয় প্রতিটি আউটলেটে। এরপর ধীরেনবাবুর এক ছেলে জানান যে প্রতিটি কাউন্টারে ৪-৫ হাজার প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয় রোজ। বছরে টার্নওভার ১০০ কোটি টাকা। সেই খবর শুনে সৌরভ বাহবা না দিয়ে পারলেন না। শুধু তাই নয়, ১৮০০ কেজি মাংস রোজ দরকার পড়ে এবং তা ব্যারাকপুরের ১৫টি দোকান থেকে স্লাপ্লাই দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, দাদা-বৌদির বিরিয়ানি সব আউটলেটে ৬০০-রও বেশি মানুষ কাজ করেন। 

আরও পড়ুন

Advertisement

সেটেই বিরিয়ানি টেস্ট করলেন সৌরভ। দাদা এও বললেন যে শ্যুট চলছে বলে এক চামচ বিরিয়ানি খেলেন নয়তো গোটা প্লেটটাই শেষ করে ফেলতেন তিনি। সব মিলিয়ে দাদাগিরির এই পর্বটি ছিল দারুণ মজাদার এক পর্ব। যেখানে সকলে স্বচক্ষে দেখলেন দাদা-বৌদির স্রষ্টাকে। প্রসঙ্গত দাদাগিরি ১০ শোটি প্রতি শনি এবং রবিবার সম্প্রচারিত হয়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সঞ্চালিত এই শো রাত সাড়ে নয়টা থেকে দেখা যায়।

 

Advertisement