গ্রীক পুরাণ অনুযায়ী, 'ইউনিকর্ন' ছিল বিশেষ শক্তির অধিকারী বা বলা যায় স্বাধীনতার প্রতীক। আর সেই 'ইউনিকর্ন' নামই নিজের ছবির জন্য বেছে নিয়েছেন অভিনেতা-পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়। প্রমোদ ফিল্মসের প্রযোজনায় এবং পিএসএস এন্টারটেনমেন্টস ও তথাগত অ্যান্ড দেবলীনা প্রোডাকশন ক্রিয়েশনের সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে এই ছবি।
'ইউনিকর্ন'-ছবিটি তিনটি জঁনারের মিশেলে বুনেছেন তথাগত। সাই-ফাই, ফ্যান্টাসি ও সেই সঙ্গে রোম্যান্স। মহিলাদের ক্ষমতায়ন, মানব স্বাধীনতা ও নিজস্ব- স্বাধীনতার কথা বলবে এই ছবি।
মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তি, দেবলীনা দত্ত মুখোপাধ্যায়, রাজর্ষি দে ও রণজিত। পরিচালনার পাশাপাশি 'ইউনিকর্ন'-র গল্প, চিত্রনাট্য,ফরেন সিনেমাটোগ্রাফি সব দায়িত্বই একা হাতে সামলেছেন তথাগত।
এই ছবির সম্পাদনা করেছেন প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য, সঙ্গীত পরিচালনা ময়ুখ ভৌমিকের। এছাড়া সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন শুভদীপ দে এবং সাউন্ড ডিজাইন অনিন্দিত ও অদীপের।
প্রায় ৮ মাস ধরে চলেছে 'ইউনিকর্ন'-র শ্যুটিং। সিঙ্গাপুর, মালয়সিয়া ও ভারতের বিভিন্ন জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছিল শ্যুটিং লোকেশন হিসাবে। ১ ঘণ্টার এই ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্মের অপেক্ষায় দর্শকেরা রয়েছেন প্রায় ৩ বছর ধরে।
অপালা উত্তর কলকাতার একটি সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী পরিবারের মেয়ে। তিনি যখন ছোট ছিলেন, তাঁর ঠাকুমা বলেছিলেন যে, তাঁর এমব্রয়ডারি করা কম্বলটিতে জাদুকরী শক্তি আছে। যদি কখনও তাঁকে বিপদে ডেকে আনে, কম্বলটি উদ্ধার করবে। বহু প্রজন্ম ধরে ভিন্ন হাত ঘুরে অপালার কাছেও কম্বলটি আসে।
বিয়ের পরে অপালা সেই কম্বলটি তাঁর সঙ্গে নিয়ে যায় এবং আলমারিতে যত্ন করে রাখে। এরপর সংসারের কাজে ব্যস্ত হয়ে যায় সে। ক্রমে বৈবাহিক জীবন, সমাজ, ব্যস্ততা সমস্তটাতে তাঁর দম বন্ধ লাগতে শুরু করে। যখনই মন খারাপ হয় সে কম্বলটি হাতের কাছে নিয়ে পৌঁছে যায় রূপকথার দেশে।
এক সময়ে উত্তর খুঁজতে সে তাঁর আত্মীয়, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দিগম্বরের কাছে যায় অপালা। তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে এটা কি কল্পনা না বাস্তব? সত্যিই কি সমস্তটা তাঁর হতাশা প্রতীক? নাকি কোনও জাদু কিংবা হ্যালুসিনেশন? আবার সত্যিও তো হতে পারে... এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ছবিতে।
তৃতীয় বিশ্বে মানব জীবনের অধরা স্বাধীনতার সন্ধান করে 'ইউনিকর্ন'। গল্প শুনেই বোঝা যাচ্ছে দর্শকেরা এক অন্য ধারার ছবি উপহার পেতে চলেছেন।