অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে খোদ বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরও অক্সিজেনের সংকট অব্যাহত। তার প্রমাণ মিলল হরিয়ানায়। সেরাজ্যের কাঠুরিয়া ও রিওয়ারি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
রিওয়ারি হাসপাতালে মৃত্যু
রিওয়ারি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছেন ৪ জন। হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'অক্সিজেনের অভাবে আইসিইউ-তে ৩ জন মারা গিয়েছেন। একজনের মৃত্যু হয়েছে সাধারণ ওয়ার্ডে। আমাদের কাছে অক্সিজেনের স্টক প্রায় নেই বললেই চলে। আমরা প্রশাসনকে এই নিয়ে জানিয়েছি। আমাদের তরফে অক্সিজেনের ফাঁকা সিলিন্ডার পাঠানো হয়েছে।'
হাসপাতালের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রতিদিন ৩০০ টি অক্সিজেনের সিলিন্ডারের প্রয়োজন। কারণ, ১১৪ জন করোনা রোগী এখানে ভর্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন : রাত পোহালেই ভোট, মুর্শিদাবাদে এখনও জোটজটে আটকে বাম-কংগ্রেস-ISF
যদিও জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, হাসপাতালের তরফে অক্সিজেনের অভাবে রোগীদের মৃত্যুর যে অভিযোগ সামনে আনা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিদিন যা অক্সিজেন দেওয়া হয়, তাই হাসপাতালকে দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেন ঘাটতি হল তা খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে রোগী মৃত্যুর প্রতিবাদে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা।
গুরুগ্রাম হাসপাতালের ঘটনা
হরিয়ানার গুরুগ্রাম হাসপাতালেও ৪ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অক্সিজেনের অভাবেই এই মৃত্যু। তাদের কথায়, 'কোভিড রোগীদের বেশি মাত্রায় অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। অথচ অতটা অক্সিজেন আমাদের স্টকে ছিল না। চিকিৎসকরা সবরকম চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, পারেননি।' স্থানীয় প্রশাসন এই অক্সিজেনের ঘাটতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।
অক্সিজেনের হাহাকার
গত এক সপ্তাহ ধরে অক্সিজেনের সংকটের ছবি সামনে এসেছে। সবথেকে বেশি অসুবিধেয় পড়েছে দিল্লি। অক্সিজেনের সমস্যা মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বৈঠক করেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। তারপরই চালু হয়েছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। আমেরিকার তরফে ভারতকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।