করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউতে দেশে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ বাড়ছে বাংলার প্রায় প্রতিটি জেলাতেই। একইসঙ্গে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক অক্সিজেনের (Oxygen) ঘাটনি। কোথাও কোথাও অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগও উঠছে। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারি রুখতে তৎপর হল প্রশাসন।
বুধবার বাঁকুড়া (Bankura) শহরের পোদ্দারপাড়া, মাচানতলা সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালালেন ড্রাগ কন্ট্রোল এবং জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিকরা। সঙ্কটের পরিস্থিতিতে যাতে কোনওভাবেই অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারি না হয় সেই বিষয়ে সতর্ক করা হয় দোকানদারদের। একইসঙ্গে দোকানগুলিতে কত অক্সিজেন মজুদ রাখার অনুমতি আছে, আর বর্তমানে কতটা মজুদ আছে এবং কোথায় বা কাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে সেই সমস্ত তথ্য নতিভুক্ত করেন প্রশাসনিক আধিকাররিকরা। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের থেকে যাতে বেশি দাম না নেওয়া হয় সেই বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয় ব্যবসায়ীদের।
প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন এই ধরনের পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে অক্সিজেনের কালোবাজারি বন্ধ করা যাবে। এই বিষয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিক আকাশ মণ্ডল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, 'জেলার ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে গিয়ে দেখলাম অক্সিজেনের দাম সব ঠিক আছে কি না। সব দোকানদারদের সচেতন করা হল আজ।' একইসঙ্গে বাঁকুড়া জেলায় এই মুহূর্তে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই বলেও জানান তিনি।
গত কয়েকদিন আগে এই ধরনের অভিযান দেখ যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও। সেখানে বেশকিছু অক্সিজেন প্ল্যান্ট এবং এজেন্সি পরিদর্শ করেন টাস্ক ফোর্সের কর্তারা। মেদিনীপুর শহরের অক্সিজেন স্টক এবং খড়গপুর শহরের সুপার গ্যাস অ্যান্ড এমপ্লয়িজ প্রাইভেট লিমিটেড অক্সিজেন প্লান্টে ঘুরে দেখেন অতিরিক্ত জেলাশাসক তুষার সিংলা, পিনাকী প্রধান, জেলা উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী। সংস্থাগুলি কোথায় কতখানি অক্সিজেন সরবরাহ করছে সেই তালিকা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। স্বাস্থ্য পরিষেবা ছাড়া অন্য কোথাও যাতে অক্সিজেন সরবরাহ না করা হয় সেই বিষয়েও স্পষ্ট ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়।