দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনার (Corona) সংক্রমণ। রাজ্যের করোনা সংক্রমণের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই। পিছিয়ে নিই বাঁকুড়াও (Bankura)। তবে সংক্রমণ রোখার বিষয়ে তৎপর হলেও রাজ্যে এখনও পর্যন্ত লকডাউনের পথে হাঁটেনি প্রশাসন। সেক্ষেত্রে সচেতনতার ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
সেই সচেতনামূলক প্রচারের উদ্দেশ্যেই আজ শনিবার রাস্তায় নামলেন বাঁকুড়া পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যরা। সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর পাশাপাশি যাঁদের মুখ খালি তাঁদের মাস্কও পরিয়ে দিলেন তাঁরা। এই সচেতনতা অভিযানে বাঁকুড়া পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর প্রধান অলকা সেন মজুমদার সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বাঁকুড়া পৌরসভার আরবান হেলথ মিশনের সদস্যরাও।
এদিন বাঁকুড়ার প্রাণকেন্দ্র মাচানতলা থেকে এই সচেতনতা মূলক অভিযান শুরু হয়। পরে বাঁকুড়ার বাজার ঘুরে পৌরসভার এসে এই কর্মসূচি শেষ হয়। পথচলতি সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রিক্সা, টোটো, মোটর বাইক আরোহীদের মুখে মাক্স পরিয়ে দেওয়া হয় বাঁকুড়া পৌরসভার তরফে। পাশপাশি বাঁকুড়া বাজার এলাকায় বিভিন্ন দোকানে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মুখেও মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হয় সচেতনতার বার্তা।
এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর উপপৌর প্রশাসক দীলিপ আগরওয়াল বলেন, একমাত্র সচেতনতাই পারে মারণ করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে মানুষকে জয় এনে দিতে। তাই সচেতনতা মূলকপ্রচারে উদ্দেশ্যে ছিল এদিনের অভিযান। এক্ষেত্রে গতবছর যেভাবে মানুষ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হয়েছিলেন এই বছরেও সচেতনতামূলক প্রচারের মাধ্যমেই মানুষ করোনাকে হারাতে পারবে বলে বিশ্বাস তাঁর। দীলিপবাবুর মতে, এর জন্য দরকার দরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, অকারণে বাড়ির বাইরে না বেরোনো, বারে বারে হাতে সাবান বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং মাস্ক দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখা। আর তা হলেই বাঁচবে মানব সভ্যতা, সঙ্গে বাঁচবে বিশ্ব। আগামিদিনেও এই ধরনের সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর পাশাপাশি পৌরসভার উদ্যোগে বাঁকুড়ার বিভিন্ন বাজারগুলিকে স্যানিটাইজ করা হবে বলেও জানান দিলীপ আগরওয়াল।