ক্রমেই সঙ্কটজনক হচ্ছে করোনা (Corona)পরিস্থিতি। আজ বুধবার রাত ৮টার পর থেকেই লকডাউনের পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে মহারাষ্ট্রে। এই অবস্থায় বার্কলেসের তরফে এক রিপোর্টে বলা হয়েছে লকডাউনের ফলে দেশের অর্থব্যবস্থায় প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৯৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।
মে পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকলে ক্ষতির পরিমান কত হবে?
ব্রিটেনের সংস্থা বার্কলেস এক রিপোর্টে বলেছে, যদি এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা মে পর্যন্ত থাকে তবে অর্থানৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ১০.৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে, যা দেশের নমিনাল ডিজিপির ০.৩৪ শতাংশ।
করোনায় বিশ্বে শীর্ষে ভারত
দেশে রোজই বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১.৬২ লক্ষ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের। বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণের বিচারে ভারত বিশ্বে শীর্ষে। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের পরিমান ১.৩৭ কোটি। পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ১.৭১ লক্ষ মানুষের।
৮ রাজ্যে ৮১ শতাংশ কেস
দেশের মোট করোনা আক্রান্তের প্রায় ৪৮ শতাংশই মহারাষ্ট্রের। পাশাপাশি মোট আক্রান্তের ৮১ শতাংশ হয়েছে মাত্র ৮টি রাজ্যে। কিন্তু এই ৮টি রাজ্যেই আর্থিক লেনদেন বেশি। আর সেই কারণে এই সমস্ত রাজ্যে লকডাউন অর্থব্যবস্থায় অনেক বেশি প্রভাব ফেলবে। একদিকে মহারাষ্ট্র সরকার যেমন পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অন্যদিকে তেমনই বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দিল্লি সরকারও।
ত্রৈমাসিকে ১.৪ শতাংশ জিডিপি হ্রাস
ইতিমধ্যেই কোনও কোনও রাজ্যে কারফিউ বা লকডাউন সহ অন্যান্য বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এর ফলে প্রতি সপ্তাহের অর্থনীতিতে ৯৪০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ক্ষতির পরিমানটা ৩৯০ কোটি টাকা মনে করা হয়েছিল। এর ফলে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে নমিনাল ডিজিপিতে প্রায় ১.৪ শতাংশ ক্ষতি বলে মনে করা হচ্ছে।