করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে দেশে চলছে টিকাকরণ। ভ্যাকসিনেশান নিয়ে লাগাতার বিভিন্ন কথাও উঠে আসছে। এরই মাঝে, নয়া দাবি কংগ্রেস নেতা গৌরব পান্ধির। গৌরব বলেন, কোভ্যাকসিন (Covaxin) তৈরি করতে ব্যবহার হচ্ছে গরুর বাছুরের সিরাম। আরটিআই-তে পাওয়া জবাবের ভিত্তিতে এই দাবি করেছেন তিনি। কংগ্রেস নেতার এই বক্তব্যের পর নতুন করে কোভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়, যার জেরে পালটা বিবৃতি দিতে হয় ভারত বায়োটেককে।
ট্যুইকে কী দাবি করা হয়?
কংগ্রেস নেতা গৌরব পান্ধির ট্যুইট, ২০ দিনের চেয়ে কম বয়সের বাছুরের সিরাম কোভ্যাকসিনে ব্যবহার করা হয়। যদি এমনটাই হয়, তাহলে সরকার আগে কেন জানায়নি। কারণ এরফলে ধর্মীয় ভাবাবেগেও আঘাত লাগতে পারে। তাঁর দাবি, একটি আরটিআই-এর জবাবে মোদী সরকার স্বীকার করে নিয়েছে যে কোভ্যাকসিনে গরুর বাছুরের সিরাম ব্যবহার করা হয়। ২০ দিনের চেয়ে কম বয়সের বাছুরকে মেরে তারপর ব্যবহার করা হয়। এটা জঘন্য অপরাধ। এই তথ্য প্রথমেই সামনে আনা উচিত ছিল। এছাড়াও এই বিষয়ে আরও বেশকিছু ট্যুইট করেন গৌরব পান্ধি।
বিতর্কে পালটা সাফাই ভারত বায়োটেকের
পান্ধির ট্যইটের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কোভ্যাকসিন নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তার প্রেক্ষিতে পালটা সাফাই দেয় ভারত বায়োটেক। সংস্থাটির তরফে জানান হয়েছে, গরুর বাছুরের সিরাম ভাইরাল ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। আর তা ব্যবহার করা হয় কোষের বৃদ্ধির জন্য। তবে SARS CoV2 ভাইরাসের বৃদ্ধি বা চূড়ান্ত ফর্মুলায় তা ব্যবহার করা হয়নি। এক্ষেত্রে ভারত বায়োটেকের দাবি, কোভ্যাকসিন পুরোপুরি শুদ্ধ টিকা। ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বাছুরের সিরামের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী বেশকয়েক দশক ধরেই চলছে। গত প্রায় ৯ মাস ধরে এই বিষয়ে সার্বজনিক ভাবে তথ্যও দেওয়া হচ্ছে।
বিতর্ককে ঘুরে তরজা
এদিকে এই বিতর্ককে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তরজা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ট্যুইটে দাবি করেছে, কোভ্যাকসিনের ফাইনাল প্রোডাক্টে বাছুরের সিরাম নেই। তথ্যকে ভুলভাবে তুলে ধরা হচ্ছে এবং বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
অন্যদিকে শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ট্যুইটে লেখেন, যাঁরা বিজ্ঞানীদের গবেষণার কথা বলেন, তাঁরাই এখন কোভ্যাকসিন নিয়ে এই ধরনের কথা বলছেন। দয়া করে ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে এই ধরনের কথা রটানো বন্ধ করুন।