করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা কমেছে। তবে করোনা কিন্তু বিদায় নেয়নি। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা চলে গিয়েছে এমনটা মনে করা একেবারেই ঠিক নয়। আর তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল ৩ দিনে করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে গত ৩ দিনে দেশে বেড়েছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৭৮৬ জন। বুধবার এই সংখ্যাটি ছিল ৪৫ হাজার ৯৫১ এবং মঙ্গলবার তা ছিল ৩৭ হাজার ৫৬৬ জন।
বেশকয়েকদিন নিম্নগামী থাকার পর হঠাৎ করেই ফের ঊর্ধ্বগামী দেশের করোনা গ্রাফ। সেক্ষেত্রে এই পরিস্থিতিতে করোনা বিধি পালনে কোনওরকম ঢিলে দিলে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তাতেও সচেতন হচ্ছেন না মানুষ। এখনও বেশকয়েক জায়গায় বিনা মাস্কে দেখা যাচ্ছে মানুষজনকে। নেই সামাজিক দূরত্বও।
পটনা, ভোপাল, হিমাচলপ্রদেশ সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে এই ধরনে ছবি। ইতিমধ্যেই হিমাচলে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকদের ভিড়। সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় সোলানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। নরকান্দাতেও উপচে পড়েছে পর্যটকদের ভিড়। কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভিকে পাল জানিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের আসা বা না আসা আমাদের হাতে। এটা সামগ্রিক শৃঙ্খলার বিষয়। তিনি আরও বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের অপ্রত্যাশিত আচরণ অতিমারীর ছবিটা বদলে দিতে পারে।
তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সরকার মূলত ৩টি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছে। সেগুলি হল-
১. ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
২. এর আসার তারিখ নির্ধারণ করা সঠিক হবে না।
৩. ঢেউ কতটা বড় হবে তা আমাদের আচরণের ওপরে নির্ভর করবে।
ইতিমধ্যেই দেশের ১২টি রাজ্যে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্টের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও বিজ্ঞানসম্মত তথ্য নেই যেটা থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্ট ভ্যাকসিনের ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন। তবে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সরকার।