দেখতে দেখতে জনতা কার্ফুর ১ বছর পূর্তি। আর ঠিক সেই সময়ই আবার ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। বিগত কয়েকদিন ধরেই দেশে বাড়ছে করোনা (Corona) সংক্রমণ। সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৪৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৯৭ জনের। এর মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই করোনায় নতুন কেসের সংখ্যা ৩০ হাজার ৫৩৫। মৃত্যু হয়েছে ৯৯ জনের। ফের করোনা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠায় নাগপুরে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ
২১ মার্চের তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪২২ জন। যার জেরে রাজ্যে মোট আক্রান্ত বেড়ে হল ৫ লক্ষ ৮০ হাজার ২০৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, ফলে মৃতের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩০৬। এই সময়রে মধ্যে করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ২৯৫ জন। ফলে রাজ্যে করোনা জয়ীর সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮২১ জন, যা শতকরা ৯৭.৬২ শতাংশ। রাজ্যে বর্তমানে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫০৪ জন।
মহারাষ্ট্র
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী রবিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৫৩৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯৯ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৬৭ জন। ভর্তি রয়েছে ৯ হাজার ৬০১ জন। সে রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ১০ হাজার ১২০ জন। অন্যদিকে রবিবার করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ হাজার ৩১৪ জন। রাজ্যের সুস্থতার হার ৮৯.৩২ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৮২ জন। এদিকে ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র মুম্বইতেই ৩,৭৭৫টি নতুন কেস পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন ১,৬৪৭ জন। নাগপুরে নতুন কেসের সংখ্যা ৩,৬১৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। পরিস্থিতি বিচার করে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নাগপুরে লকডাউন জারি করেছে প্রশাসন।
কর্ণাটক
দক্ষিণের রাজ্যে কর্ণাটকে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১,৭১৫ জন। যার জেরে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৯ লক্ষ ৭০ হাজার ২০২ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২,৪৩৪ জনের। রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৯৩ জন। কর্ণাটকে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মধ্যপ্রদেশ
এই রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৩২২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬৬৩ জন। পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। মধ্যপেরদেশে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮২১ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৩,৯০৬ জনের। বর্তমানে রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার জন।
দিল্লি
দেশের রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ৭৫,৮৮৮ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তারমধ্যে ৮১৩ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন ৫৬৭ জন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দিল্লিতে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩,৪০৯ জন। এর আগে গত ১০ জানুয়ায়ি সবচেয়ে বেশি অ্যাকটিভ রোগীর পাওয়া গিয়েছিল। সংখ্যাটা ছিল ৩,৪৬৮ জন। এছাড়া হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা চলছে ১৭০০-রও বেশি রোগীর।
পঞ্জাব
এদিকে পঞ্জাবে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৬৬৯ জন। মৃত্যু হয়ে ৪৪ জনের। পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন ১,৩৩১ জন। পঞ্জাবে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ১৩ হাজার ১১০ জন। পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫২৯ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬,৩২৪ জন। বর্তমানে রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১৮ হাজার ২৫৭ জন।
জম্মুকাশ্মীর
এখানে রবিবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। জম্মুকাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৪৭ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৯৮১ জনের। বর্তমানে সেখানে অ্যাক্টিভ রোগার সংখ্যা ১ হাজার ২৯০ জন।
রাজস্থান
করোনা বাড়ছে রাজস্থানেও। তাতে নাইট কার্ফুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। যার জেরে আজ থেকে রাত ১০টার পর বন্ধ থাকবে সমস্ত বাজার। আজমের, যোজপুর, কোটা, উদয়পুর সহ বিভিন্ন জায়গায় রাত ১১টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত থাকবে নাইট কার্ফু। এছাড়া যাঁরা বাইরে থেকে রাজস্থানে যাবেন তাঁদের আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক।
কেরল
কেরলে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৮৭৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৬২০ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৪৯৫ জন।
উত্তরপ্রদেশ
সংক্রমণ বাড়ছে উত্তরপ্রদেশেও। রবিবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯৬ জন। গত ১৬ জানুয়ারির পর এটাই সবচেয়ে বড় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে শুধু লখনওতেই আক্রান্তের সংখ্যা ১১৫ জন।
ভ্যাকসিন
এদিকে দেশে চলছে টিকাকরণ অভিযানও। এখনও পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৩ হাজার ৮৪১ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ২০ মার্চ ২৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।