ভারতের বেশিরভাগ মানুষই ভাবতে শুরু করে দিয়েছিলেন যে করোনা বোধহয় চলে গিয়েছে। তবে সেই ভাবনাকে ভুল প্রমাণিত করে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। চিনে ইতিমধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট BF.7। ভারতেও কয়েকজনের দেহে এই ভেরিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে ফের নতুন করে লকডাউনের আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে মানুষের মনে। সম্প্রতি, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) ডাঃ অনিল গয়াল বলেন, "ভারতের জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশের করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, তাই দেশে কোনও লকডাউন হবে না।" তিনি আরও বলেন, "চিনের মানুষের তুলনায় ভারতীয়দের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি"।
ভারতকে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পুরানো ফর্মুলা যেমন,টেস্টিং, ট্রিটিং এবং ট্রেসিং-এ ফিরে আসতে হবে। তিনি এও বলেন যে, ভারতে লকডাউনের প্রয়োজন পড়বে না। তবে তা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা জনগণকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ জানিয়েছেন এবং করোনা বিধি মেনে চলতে বলেছেন। ব্রাজিল, আমেরিকা ও জাপানের মতো চিনে করোনার ক্রমবর্ধমান কেস দেখে ভারতও তৎপর হয়েছে। এক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ এড়াতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়গুলি।
স্বাস্থ্যবিধির বিশেষ যত্ন নিন - স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনার বিপদ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধির বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। বারেবারে জল ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পাশাপাশি স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। হাঁচি বা কাশির সময়, কনুই বা টিস্যু দিয়ে মুখ এবং নাক ঢেকে রাখুন। প্রতিদিন দরজার হাতল, ট্যাপ এবং ফোনের স্ক্রিন পরিষ্কার করুন। কারণ এই জিনিসগুলোই সবচেয়ে বেশি স্পর্শ করতে হয়।
মাস্ক পরুন - বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় সর্বদা মাস্ক ব্যবহার করুন এবং মুখ ও নাক সঠিকভাবে ঢেকে রাখুন। মাস্ক পরার আগে হাত ভাল করে পরিষ্কার করুন। এ ছাড়া মাস্ক খুলে ফেলার পর ফের হাত ধুয়ে নিন। প্রতিদিন মাস্ক ধুয়ে ফেলুন। যদি ডিসপোজাবল মাস্ক ব্যবহার করেন তবে একবারের বেশি ব্যবহার করবেন না।
আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন - আশেপাশে কারও কাশি, জ্বর বা সর্দি হলে সেই ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলুন। WHO 3C (closed, crowded, close contact) এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে বাড়ির মধ্যে থাকলে বাতাস চলাচলের জন্য জানালা-দরজা খোলা রাখুন। ডব্লিউএইচও-র মতে, কেউ অসুস্থ হলে কোভিড-১৯ থেকে নিজেকে এবং অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে তার যথাযথ নির্দেশিকা অনুসরণ করা উচিত।
জ্বর সর্দি কাশিতে চিকিৎসকের কাছে যান - কোভিড থেকে সুরক্ষিত থাকতে, ভ্যাকসিনেশনের ডাবল ডোজ এবং বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকতে হবে। তারপরেও যদি শরীরে কোন ধরনের পরিবর্তন দেখতে পান, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মাথায় রাখবেন কোভিডের সাধারণ উপসর্গগুলি হল, জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, গন্ধ না পাওয়া, খাবারের স্বাদ না পাও। এছাড়াও কোভিড-১৯ এর অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, চোখ লাল এবং চুলকানি, ডায়রিয়া ও ত্বকে ফুসকুড়ি।
আরও পড়ুন - চাকরি থেকে ব্যবসা, প্রভু যীশুর আশীর্বাদে আজ তড়তড়িয়ে এগোবে ৫ রাশির ভাগ্য