করোনা ভাইরাস (Coronavirus) যখন তাণ্ডব চালাচ্ছে, তখন ভয়াবহ বার্তা মার্কিন গবেষণায়। সেই গবেষণা রিপোর্ট বলছে, মে মাসের মাঝামাঝি ভারতে করোনায় মৃত্যুর (Coronavirus Deaths) দৈনিক সংখ্যা ৫ হাজার ৬০০ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। যার নির্যাস, এপ্রিল থেকে অগাস্টের মধ্যে দেশে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হবে করোনায়।
আরও পড়ুন: Corona: ভারতে COVID-19 অতিমারির সেকেন্ড ওয়েভ কবে শেষ হচ্ছে?
'COVID-19 projections' শীর্ষক সমীক্ষাটি করেছে ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেল্থ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন। গত ১৫ এপ্রিল সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষা রিপোর্টে ভারতে অতিমারির বেগ কমাতে দ্রুত টিকাকরণের বিষয়েই আশা প্রকাশ করা হয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দ্রুত টিকাকরণ অতিমারির প্রকোপ থেকে খানিকটা বাঁচাতে পারে ভারতকে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গেও হাজির CORONA,এভারেস্টেও দেখা মিলল আক্রান্তের
IHME-র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে অতি খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখিন হবে ভারত। স্টাডিতে বলা হচ্ছে, ১০ মে ভারতে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ৬০০ ছুঁতে পারে। ১২ এপ্রিল থেকে পয়লা অগাস্টের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার মানুষের। অর্থাত্, জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হতে পারে ৬ লক্ষ ৬৫ হাজারের।
সমীক্ষায় আরও প্রেডিকশন, সবাই যদি যথাযথ ভাবে মাস্ক ব্যবহার করেন, ৯৫ শতাংশ মানুষ যদি মাস্ক ব্যবহার করেন, তা হলে এপ্রিলের শেষের থেকে দৈনিক আক্রান্ত কমে ৭০ হাজারে পৌঁছে যেতে পারে। ভারতে Covid-19 কেস ও মৃত্যুর হার ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত অনেকটাই কমেছিল। মূলত এপ্রিল থেকে ঝড়ের গতিতে আছড়ে পড়া দ্বিতীয় ওয়েভ সামলাচ্ছে ভারত।
ইতিমধ্যেই প্রতিদিন ভারতে সংক্রমণে নয়া রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লক্ষ ৩২ হাজার মানুষ দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ২ হাজার ২৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে একদিনে। হাসপাতালে বেড নেই, অক্সিজেনের প্রবল ঘাটতি। একাধিক হাসপাতালে স্রেফ অক্সিজেন নে পেয়েই মৃত্যু হচ্ছে বহু করোনা রোগীর।
মার্কিন গবেষণা বলছে, ভারতে এর আগে করোনা আক্রান্ত সর্বোচ্চ শিখর ছুঁয়েছিল গত বছর সেপ্টেম্বরের শুরুতে। এ বছর এই ব্যাপক ভাবে সংক্রমণের কারণ হিসেবে মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ী করা হয়েছে স্টাডিতে। মাস্ক না পড়া, ভিড় জমানো ইত্যাদি। ভারতে এপ্রিলের মাঝামাঝি করোনায় মৃত্যুই বিশ্বের ৫ পঞ্চম সর্বোচ্চ মৃত্যুর কারণ হবে ভারতে। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে ২৪ শতাংশ মানুষ করোনার সামনে এক্সপোজ হয়েছেন। সমীক্ষা বলছে, একমাত্র দ্রুত টিকাকরণ হলে কম বেশি ৮৫ হাজার ৬০০ প্রাণ বাঁচানো যেতে পারে।