ভ্যাকসিন (Vaccine) নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা জারি। এর মাঝেই ভ্যাকসিন লুঠ হচ্ছে বলে অভিযোগ শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মুখে। দিলীপের অভিযোগ, 'চাল ও কয়লার মত ভ্যাকসিনও লুঠ হচ্ছে।' প্রায় একই অভিযোগ শোনা গেল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র (Kailash Vijayvargiya) মুখেও। তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন চুরির অভিযোগ তোলেন কৈলাস। বলেন, 'ভ্যাকসিন দিচ্ছে কেন্দ্র, অথচ সবকিছুর মতো এক্ষেত্রেও তা নিজের নামে চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।'
এদিকে বিজেপির ভ্যাকসিন চুরির অভিযোগের পালটা জবাব দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'চোরেরা সারা জগতকে চোর দেখে।' ফিরহাদের কটাক্ষ, 'এই ভ্যাকসিন কাদের? এটা কি বিজেপির ভ্যাকসিন? না, আমরা যে টাকা দিয়েছি, অর্থাত বাংলার আয়কর ও জিএসটির যে টাকা গেছে, ওই টাকা দিয়েই ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ভ্যাকসনি পাঠাতে বলেছেন। যদি পাঠাতে না পারেন, তাহলে আমরা কিনে নেব। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আর সেটা পূরণ করতে হবে।' একই সঙ্গে ভ্যাকসিন সবার মৌলিক অধিকার বলেও এদিন মন্তব্য করেন ফিরহাদ।
অন্যদিকে আরও এক বিধায়কের বিরুদ্ধে উঠল ভ্যাকসিন নেওয়ার অভিযোগ। এবার অভিযোগ উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিং-এর বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে বিধায়কের যুক্তি, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ায় টিকা নিয়েছেন তিনি। যদিও বিজেপির কটাক্ষ, সাধারণ মানুষ নয়, নিজেকে বাঁচাতেই বেশি ব্যস্ত বিধায়ক। এমনকি বিধায়করা আগে ভ্যাকসিন নিয়ে ঠিক করেননি বলে মত রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমেরও। তবে কেন্দ্র ভ্যাকসিন দিয়ে দয়া করছে না বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, 'ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাঁদের ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে।' অন্যদিকে বিধায়কদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার ঘটনা লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। পাশপাশি এই প্রসঙ্গে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, 'ওনার নেতারাই যদি সব ভ্যাকসিন নিয়ে নেন, তাহলে যাঁরা পাওয়ার তাঁরা তো পাবেন না, কম তো পড়বেই।'