"সামনে নির্বাচন, দলকে জেতাতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবে দলের যাঁরা যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের কথা শোনা উচিত নেতৃত্বের।" রবিবার (Sunday) রামপুরহাটে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এমনটাই বললেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। তিনি বলেন, "আমি দলের নেত্রী নই, আমাদের দলে একজনই নেত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আমি একজন কর্মী। আমি দলের নেতৃত্বকে সমস্যাগুলি বলেছি, আসতে আসতে তার সমাধান হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে কথা দিয়েছেন। তারপিঠ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে দুবার পদত্যাগ করে ছিলাম, ওরা গ্রহণ করেনি। আমি ওখানে থাকতে চাই না। কারন ওখানে আমার মতামত দেওয়ার কোনও জায়গা আছে বলে মনে করি না।"
শতাব্দী বলেন, "২০২০ সালে আমি সাংসদ তহবিলের টাকা খরচে দেশে তৃতীয় হয়েছিলাম। গ্রামে গ্রামে আমাকে ঘুরতে হবে, আমি যেতে চাইলে সেখানে দলকে বিষয়টা দেখতে হবে, আয়োজন করতে হবে। সাংসদ শতাব্দী রায় ছাড়াও আমার একটা ফেস ভ্যালু আছে। আমি সেই হিসাবেও গ্রামে যেতে পারি। কিন্তু সেটা খারাপ হবে।" অন্যদিকে পিকেকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল সাংসদ জানান, "আমি পিকেকে সমর্থন করি। কারণ পিকে আসার পর কর্মীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। পিকের আসার পর বিষয়টা অনেক সুসংগঠিত হয়েছে। সেটা সমর্থনযোগ্য।"
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে শুক্রবারই ফের ইউটার্ন করেছিলেন শতাব্দী রায়। বিক্ষোভে ইতি টেনে দলের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে ছিলেন তিনি। দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুরস্কারও পেয়ে গেলেন শতাব্দী। জানা গেছে তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে এবার স্থান পেয়েছেন তিনি। বীরভূমের সাংসদকে দলের রাজ্য সহ সভাপতি করা হয়েছে। এর জন্য অবশ্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই সাংসদ - অভিনেত্রী। তাঁর ওপর ভরসা রাখার জন্য দলের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ বলেও জানান শতাব্দী রায়। এছাড়া পদ্ম শিবিরের কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কি না জানতে চাওয়া হলে শতাব্দী জানান, বিজেপির অনেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।