করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে ভারতে। আর তখন শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেই ধাক্কা সামলাতে আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিল সরকার। একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
এর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। বেশ কয়েকটি ধাপে এই কাজ করা হবে। চলতি মাস থেকে শুরু হবে প্রশিক্ষণ। এর পাশাপাশি শিশুদের জন্য অতিরিক্ত শয্যা তৈরি রাখা হচ্ছে।
প্রশিক্ষণ
বেশ কয়েকটি পর্যায়ে এই কাজ করা হবে। কবে, কাদের প্রশিক্ষণ তার তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। ঠিক করা হয়েছে, প্রথম দফায় প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) দেওয়া হবে। পরের দফায় দু'টি অংশ থাকছে।
প্রথম অংশে বিভিন্ন এসএনসিইউ-তে কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার এবং নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এবং দ্বিতীয় অংশে বিভিন্ন সিসিইউ এবং এইচডিইই-তে থাকা মেডিক্যাল অফিসার এবং নার্সদের প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য।
প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) হবে অনলাইনে। তাদের প্রশিক্ষণ হবে প্রথমে। এরপর মেডিক্যাল অফিসার এবং নার্সদের। প্রথম দফার প্রশিক্ষণ শুরু হতে চলেছে ২৩ জুন থেকে। চলবে ২৬ জুন পর্যন্ত।
কবে কোন জেলায়
এক্ষেত্রে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ হবে। এই দফায় আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, বীরভূম, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, হুগলি, হাওড়া, জদলপাইগুড়ি এবং কলকাতায় হবে।
দ্বিতীয় দফায় হবে মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগণা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়।
যে জেলায় প্রশিক্ষণ হবে সেখানে কম্পিউটার থাকা দরকার। এবং একটি জায়গায় তা করা হলে ভাল হয়। পরামর্শ স্বাস্থ্য ভবনের। যাতে যে বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণ দেবেন, তিনি সরাসরি সেখানে থাকতে পারেন।
এরপর শুরু হবে মেডিক্যাল অফিসার এবং নার্সদের প্রশিক্ষণ। বাকি প্রক্রিয়া কবে, কী ভাবে হবে, তা-ও বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পিকু-র ইনচার্জ ডাঃ মিহির সরকার, ওই হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ দিব্যেন্দু রায়চৌধুরি রাজ্য স্তরের সমন্বয়কারীর দায়িত্বে রয়েছেন।
অতিরিক্ত শয্যা
স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, ১ হাজার ৩০০ পিকু এবং ৩,৫০ নিকু শয্য়া তৈরি রাখা হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে সেগুলি করা হবে। যাতে শিশুদের চিকিৎসা আরও ভাল করে করা যায়।