"ভ্যাকসিন (Vaccine) পাওয়াটা প্রত্যেক ভারতীয়র মৌলিক অধিকার (Fundamental Right), আর ভ্যাকসিন চাওয়াটা আমাদের কর্তব্য। বাংলার প্রতিটি মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সুতরাং প্রতিটি মানুষকে আমরা ভ্যাকসিন দেব, আর তাতে যদি আমাদের চোর অপবাদ শুনতে হয় তাতেও আমরা রাজি আছি।" রবিবার বাগনানের দলের এক কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে এসে এই কথাই বললেন তৃণমূল (TMC) নেতা তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
ফিরহাদের কটাক্ষ, "বিজেপি ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করছে, যেন ওটা ওদের ব্যাক্তিগত টাকা। বিজেপি ভুলে যাচ্ছে, যে টাকায় ভ্যাকসিন কেনা হচ্ছে সেটা জনগনণের। সুতরাং ভ্যাকসিন চাওয়াটা বাংলার মানুষের অধিকার।" ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আইসিএমআর-এর গাইড লাইন অনুযায়ী রাজ্যে প্রথমে হেলথ ওয়ার্কার ও পুলিশ, তারপরে বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে শনিবার যদি কেউ লিস্টের বাইরে গিয়ে ভ্যাকসিন নেন তাহলে তিনি অন্যায় করেছেন। আমরা এটাকে সমর্থন করি না।" তিনি আরও বলেন, "ভ্যাকসিন যাতে সকলে পায় সেইজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি থেকে তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন চেয়েছেন এবং ভ্যাকসিন না আসলে তিনি ব্যবস্থা করবেন বলেছেন।"
রাজ্যে ভ্যাকসিন লুঠ হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, 'চাল ও কয়লার মত ভ্যাকসিনও লুঠ হচ্ছে।' প্রায় একই অভিযোগ শোনা গিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মুখেও। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন চুরির অভিযোগ তোলেন কৈলাস। বলেন, 'ভ্যাকসিন দিচ্ছে কেন্দ্র, অথচ সবকিছুর মতো এক্ষেত্রেও তা নিজের নামে চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার পরিবর্তন র্যালির প্রসঙ্গে এদিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "জে পি নাড্ডা রাজ্যে পরিবর্তনের র্যালি করলেও পরিবর্তন হবে না।" পাশাপাশি এদিন জেলার কো-অর্ডিনেটর তথা বাগনানের বিধায়ক অরুনাভ সেন বলেন, "বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে এবং মমতা বন্দোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।"