করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) গ্রাসে প্রায় গোটা বিশ্ব। সময়ের সঙ্গে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে এদেশেও। পশ্চিমবঙ্গও (West Bengal) তার ব্যতিক্রম নয়। করোনা ছেড়ে কথা বলেনি রাজ্যের নেতা (Political Leaders) মন্ত্রীদেরও (State Government Ministers)। কোভিড ১৯-এ (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন দলের নেতা নেত্রীরা। এমনকি মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মারণ ভাইরাস প্রাণ কাড়ল বাংলার কোন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। কারাই বা করলেন করোনাকে জয়।
তৃণমূল কংগ্রেস
মে মাসে করোনায় আক্রান্ত হন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। রাজ্যে তিনিই প্রথম মন্ত্রী যিনি করোনায় আক্রান্ত হন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে জুন মাসে মৃত্যু হয় ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের। তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলাতেন তমোনাশ। অগাস্টে করোনায় আক্রান্ত হন রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। এরপর অক্টোবরে করোনায় আক্রান্ত হন রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী তাপস রায় ও নির্মল মাজি। উভয়কেই ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। এই মাসেই মারণ ভাইরাস প্রাণ কাড়ে বাঁকুড়ার ইন্দাসের বিধায়ক গুরুপদ মেটের।
বিজেপি
জুলাই মাসে করোনায় আক্রান্ত হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের শীর্ষ স্থানীয় বিজেপি নেতা নেত্রীদের মধ্যে লকেটই প্রথম আক্রান্ত হন কোভি ১৯-এ। এরপর সেপ্টেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। পাশাপাশি ওই মাসেই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। অক্টোবরে করোনায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এছাড়াও অক্টোবরেই করোনা পজেটিভ হন আরও দুই বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা এবং জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাম - কংগ্রেস
জুলাই মাসে করোনায় আক্রান্ত হন সিপিআইএম নেতা ফুয়াদ হালিম। একই মাসে কোভিড ১৯ পজেটিভ হন আরও এক সিপিআইএম নেতা অনাদি সাহু। এরপর মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অগাস্ট মাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান বাম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। নভেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হন সিপিআইএম নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। অন্যদিকে এই নভেম্বরেই করোনার কবলে পড়েন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান।