scorecardresearch
 

Kamarhati Clash: মদন ঘনিষ্ঠ দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে তপ্ত কামারহাটি, গুলি চলার অভিযোগ

Kamarhati Clash: তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকা দখলের লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কামারহাটির ৩ নম্বর ওর্য়াড এলাকা। চলল গুলি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে এলাকা থমথমে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

Advertisement
মদন ঘনিষ্ঠ দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে তপ্ত কামারহাটি, গুলি চলার অভিযোগ মদন ঘনিষ্ঠ দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে তপ্ত কামারহাটি, গুলি চলার অভিযোগ
হাইলাইটস
  • মদন ঘনিষ্ঠ দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত কামারহাটি
  • এলাকায় চলল গুলি, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
  • দু'পক্ষের চাপানউতরে এলাকা থমথমে

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কামারহাটির ৩ নম্বর ওর্য়াড এলাকা। চলল গুলিও। স্থানীয় বাসিন্দাদের মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে এলাকা থমথমে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কামারহাটি ও বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। রবিবার রাতের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুটি গোষ্ঠীই বিধায়ক মদন মিত্রের অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত। 

আরও পড়ুনঃ পুজোয় দুর্ভোগ-অর্থ সংকট পাঁচ রাশির

একদলের অভিযোগ মদন ঘনিষ্ঠ আফসানা খাতুনের লোকজনই এলাকায় হামলা চালিয়েছে। গুলি ছুড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ জানান, রাতের দিকে আচমকা গুলির আওয়াজ শুরু হয়ে যায়। দশ-বারোজন ছেলে এলাকায় এসে হম্বিতম্বি করতে থাকে। যাঁরা বাড়ির বাইরে ছিলেন, তাঁদের ঘরে ঢুকে যেতে বলে। স্থানীয় মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মহিলা থেকে পুরুষ, এলাকার সকলের চোখেমুখে সোমবার সকালেও আতঙ্কের ছাপ। নিজেকে আক্রান্ত বলে দাবি করে এক মহিলা জানান, রবিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার সময় আচমকা ঘরে দশ থেকে বারোজন ঢুকে পড়ে। গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। বাচ্চারাও আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে দেয়। এরপর বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় ওই যুবকরা। এরা সবাই কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের লোকজন বলে দাবি এলাকাবাসীর একাংশের।

অন্যদিকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়েও মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ গুড্ডু ও তার সঙ্গীদের উপরে আক্রমণ করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। তাঁদের দাবি, আফসানা খাতুনের অনুগামীরাই শাহবাজ নামে এক যুবকের নেতৃত্বে গুড্ডুর এলাকায় গিয়ে শূন্যে চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এলাকার বাসিন্দাদের ভয় দেখায়। ফলে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। 

অন্যদিকে ঘোটা ঘটনায় তাঁদের কেউ জড়িত  নেই বলে দবি করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, কোনও গুলি চলেনি। তবে তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজনই উল্টো হামলা চালিয়েছে তাঁর অনুগামীদের ওপর বলে পাল্টা দাবি তাঁর। তাঁর দাবি, যাঁরা হামলা চালিয়েছে তারা সবাই তোলাবাজ। আফসানার অভিযোগ তাঁদের এলাকার দুজন ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে। 
আফসানা খাতুনের আরও অভিযোগ,  গুড্ডু নামে একজন মাসে দু'বার করে দিঘায় থাকে, আর সেই সময় ফোনে এলাকায় উত্তেজনার তৈরি করে। এলাকায় ছোট, বড় ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তোলাবাজি, গুন্ডামি করে বেড়ায়, ভয় দেখায়।

Advertisement

আরও পড়ুনঃ পুজোর বাকি ৭ দিন, ঘরোয়া এই ৬ উপায়ে বাড়ান মুখের জেল্লা; ত্বক হবে ঝকঝকে-সুন্দর

মূলত এলাকা দখল নিয়েও দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্য়ে এসেছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। পুলিশ আপাতত এলাকায় নজর রাখছে।

 

Advertisement