scorecardresearch
 

Son Murders Father: নবদ্বীপে ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে মারল ছেলে, গুরুতর জখম মা-ও

Son Murders Father: মত্ত অবস্থায় ধারালো দা দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে খুন করল ছেলে। বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম মা। চিৎকার শুনে পড়শিরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • বাবাকে কুপিয়ে খুন ছেলের
  • নদিয়ার নবদ্বীপে ব্যাপক চাঞ্চল্য
  • বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম মা

Son Murders Father: ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বাবাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাল ছেলে। খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাবার। বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম হন মা। চিৎকার শুনে পড়শিরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

আরও পড়ুনঃ WhatsApp Trick: WhatsApp ওপেন না-করেও টেক্সট পাঠানো যায়, রইল শর্টকাট পদ্ধতি

সোমবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার নবদ্বীপের চন্দ্রকলোনি এলাকায়। মৃতের নাম ইন্দ্র দেবনাথ। বয়স মাত্র ৩৮ বছর। অভিযুক্ত ছেলের নাম বাপন।  জানা গিয়েছে, ইন্দ্রবাবু বাপনের নিজের ছেলে নয়। কিছুদিন আগেই ইন্দ্রবাবুকে বিয়ে করেন বাপনের মা সীমাদেবী। একসঙ্গেই থাকতেন তাঁরা। সীমা হালদারের এটি দ্বিতীয় বিয়ে।

সীমাদেবীর দাবি, রবিবার রাতে  নিয়মমাফিক রাতের খাওয়া-দাওয়া করেন তাঁরা। এরপর তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ঘুমোতে যান। তিনি দাবি করেছেন, ছেলের মানসিক সমস্যা রয়েছে। প্রায় রাতেই উঠে পড়ত সে। সেই সঙ্গে মদ্যপানের অভ্যাস ছিল। মদ খেলে আরও উল্টোপাল্টা ব্যবহার করত। 

রবিবার মাঝরাতেও মদ্যপ অবস্থায় ছিল বাপন। সেই অবস্থায় তাদের ঘরে ঢোকে সে। কোনও কথা না বলে  আচমকা ধারাল দা দিয়ে ইন্দ্রবাবুর গলায় কোপানো শুরু করে। পাশেই শুয়ে থাকা সীমা ঘুম থেকে উঠে চমকে যান। বাধা দিতে গেলে তাঁকেও ছেলে কোপাতে যান বলে অভিযোগ। দায়ের কোপ এসে পড়ে তাঁর একটি হাতে। তিনিও জখম হয়েছেন।

আরও পড়ুুনঃ Ganesh Chaturthi 2022: আটকে থাকা টাকা ফেরত পেতে চান? গণেশ চতুর্থীদের এভাবে করুন সিদ্ধিদাতার পুজো

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নবদ্বীপ থানার পুলিশ। তারা দেহ উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইন্দ্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাপন হালদারকে আটক করা হয়েছে।

Advertisement

খুনের কারণ কী তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পড়শিরা জানিয়েছেন, মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেনি ছেলে। আবার মৃতের ভাইয়ের অভিযোগ, এই ঘটনায় মা ও ছেলে দু’জনের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। যদিও সীমাদেবীর দাবি আইনঅনুযায়ী যা শাস্তি তা যেন ছেলে পায়। অপরাধী ছেলেকে প্রশ্রয় দেবেন না তিনি।

 

Advertisement