ফিল্মি চিত্রনাট্যের মতো স্ক্রিপ্ট মেন ডাকাতি হয়ে গেল কোচবিহারের মাথাভাঙায়। মাথাভাঙা মহকুমার শিবপুরে পরিবারের ৬ সদস্যের মধ্যে পাঁচজনকে অজ্ঞান করে গোটা বাড়ি লণ্ডভন্ড করে লুঠপাট চালালো দুষ্কৃতী বা দুষ্কৃতীরা। পরিবারের যে সদস্যটি অজ্ঞান হয়নি তার বয়স বড়জোড় ২ বছর। তার কিছু বলার মতো জ্ঞান হয়নি বলেই হয়তো তাকে অজ্ঞান করা হয়নি। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই সদস্যদের কারও জ্ঞান ফেরেনি। তাই কীভাবে ঘটনাটি ঘটলো তা জানা যায়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের জোরপাকড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর এলাকার বোচাগাড়ি গ্ৰামে। তহিরুদ্দিন মিঞার পরিবারকে সর্বস্বান্ত করে দিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা।
সম্ভবত সোমবার রাতেই ঘটনাটি ঘটেছে। যাঁরা লুঠপাট করেছে, তারা হয়ত পূর্বপরিচিত। খুব সম্ভব খাবারে কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হতে পারে। কারণ শিশুটি সম্ভবত ওই খাবার খায় না। সে কারণে সে অজ্ঞানও হয়নি। একসঙ্গে বসে রাতের খাবার খাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তবে জ্ঞান ফিরলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এলাকার এক বাসিন্দা যিনি ওই পরিবারের পূর্ব পরিচিত, তিনি জানান, তিনি ওই পরিবারের পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাঁকে এদিন সকালে স্থানীয় একজন খবর দেন, এই ৫ জন সদস্যের পরিবারের শিশুটি বাদে সকলেই ঘুমিয়ে রয়েছে এবং ঘরের সমস্ত জিনিস এলোমেলো হয়ে রয়েছে। সেই মুহূর্তেই আমি তাদের বাড়িতে যাই এবং গিয়ে দেখি ঘরের ট্রাঙ্ক, বাক্স সব ভাঙা। ঘরের সমস্ত জিনিস লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি বাড়ির সকলেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
আক্রান্তের এক আত্মীয়া জানান, তিনি পাড়াডুবির এগারো মাইল এর বাসিন্দা। তবে ফোনে পাড়ার স্থানীয় কেউ ফোন করে তাঁদের জানান তহিরুদ্দিন মিঞার বাড়ির সকলকে অজ্ঞান করে ডাকাতি করা হয়েছে। সেই মুহূর্তেই আমরা বোচাগারির উদ্দেশ্যে রওনা হই। তারপর বাড়ি পৌছে পরিবারের কর্তা তহিরুদ্দিন মিঞা তার স্ত্রী রসিদা বিবি, তাদের ছেলে রসিদুল মিঞা এবং পুত্র বধূ পিংকি বিবি দের মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালের নিয়ে আসা হয়।
বর্তমানে সকলেই মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও জ্ঞান ফেরেনি। ঘটনার অভিযোগ এখন পর্যন্ত জমা না করা হলেও জমা করা হবে এমনটাই জানান মমতা খাতুন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ।