scorecardresearch
 

'পুলিশই লুঠ করছে পুলিশের ভোট', পোস্টাল ব্যালটে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে CP-র দ্বারস্থ BJP

বিজেপির (BJP) অভিযোগ, 'ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশানের নামে পুলিশ কর্মীদের এপিক কার্ড ও আধার কার্ডের কপি নেওয়া হচ্ছে এবং তার মধ্যে দিয়ে ছাপ্পা ভোট মারার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।' অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ কমিশনার বিষয়টি খতিয়ে দেশার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • পুলিশের পোস্টাল ব্যালটে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির
  • কলকাতার সিপির দ্বারস্থ বিজেপির প্রতিনিধি দল
  • খতিয়ে দেখার আশ্বাস পুলিশ কমিশনারের

'পুলিশের ভোট লুঠ করছে পুলিশ', এমনটাই গুরুতর অভিযোগ আনল বিজেপি। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতার (Kolkata) পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রর দ্বারস্থও হলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার বিজেপির এক প্রতিনিধি দল দেখা করে কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র সঙ্গে। প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত, শিশির বাজোরিয়া, সব্যসাচী দত্তের মতো নেতারা। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, 'ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশানের নামে পুলিশ কর্মীদের এপিক কার্ড ও আধার কার্ডের কপি নেওয়া হচ্ছে এবং তার মধ্যে দিয়ে ছাপ্পা ভোট মারার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।' অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ কমিশনার বিষয়টি খতিয়ে দেশার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। 

বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যদের দাবি, কর্মরত পুলিশ কর্মীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই সিপির দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। পুলিশ কর্মীদের ধমকে ও ভয় দেখিয়ে তাঁদের থেকে ওই সমস্ত নথিপত্র নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে এই চক্রান্তের মাথা কালীঘাট থানার প্রাক্তন ওসি শান্তনু সিনহা বিশ্বাস বলেই অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা। এছাড়া আরও দুই জন সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসারও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁদের। বিজেপির আশঙ্কা, শুধু এই ৩ জনই নয়, আরও অনেকেই এর মধ্যে যুক্ত। আর শুধু কলকাতাতেই নয়, গোটা রাজ্যেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেন বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। 

প্রসঙ্গত নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে বলে বারেবারেই অভিযোগ করে এসেছে বিজেপি। এমনকি পক্ষপাতদুষ্ট আধিকারিকদের ভোটের কাজে যুক্ত রাখলে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের। সম্প্রতি রাজ্যর মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গেও দেখা করেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। আর তার কিছু সময় পরেই রাজ্যর এডিজি আইনশৃঙ্খলার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় জাভেদ শামিমকে। এবার আরও গুরুতর অভিযোগ নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ বিজেপি। এখন দেখার বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেন সৌমেন মিত্র। 

Advertisement


 

Advertisement