scorecardresearch
 

Guwahati Crime: পাঁচ তারা হোটেলে খুন! ত্রিকোণ প্রেমে গেল প্রাণ, কীভাবে ১২ ঘণ্টায় রহস্যের সমাধান?

Guwahati Crime: গুয়াহাটি পুলিশ একটি ফাইভ স্টার হোটেলে ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির নৃশংস হত্যার রহস্য সমাধান করেছে, যা ত্রিকোণ প্রেমের ঘটনা বলে জানা গেছে।

Advertisement
 ত্রিকোণ প্রেমে যোগ কলকাতারও ত্রিকোণ প্রেমে যোগ কলকাতারও

Guwahati Murder Case: গুয়াহাটির একটি পাঁচতারা হোটেলে ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির নির্মম হত্যার রহস্য কয়েক ঘন্টার মধ্যে সমাধান করার দাবি করেছে পুলিশ। ত্রিকোণ প্রেমের জের ধরে এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক-প্রেমিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে, তারা  গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় পালানোর পরিকল্পনা করেছিল।

তথ্য অনুসারে, পুলিশ জানিয়েছে যে ৪২ বছর বয়সী সন্দীপ সুরেশ কাম্বলি গুয়াহাটি বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত আজরা হোটেলে ছিলেন, তাকে ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুরো বিষয়টির সঙ্গে  প্রেমের যোগ রয়েছে। ২৫ বছর বয়সী অঞ্জলি শ এবং তার প্রেমিক রাকেশ শ (২৭)-কে  হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। গুয়াহাটি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ দুজনকেই গ্রেফতার করে। 

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কাম্বলি পুনের একজন গাড়ি ব্যবসায়ী ছিলেন। হোটেলের কর্মীরা তাকে রুমের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, তার নাক দিয়ে প্রচুর রক্তপাত হয়েছিল।  

আরও পড়ুন

গত বছর কাম্বলির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় অঞ্জলির 
সূত্র জানায়, গত বছর কলকাতা বিমানবন্দরে দেখা হওয়ার পর অঞ্জলি ও কাম্বলির বন্ধুত্ব হয়। কলকাতা বিমানবন্দরের একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করেন অঞ্জলি। অঞ্জলি এবং কাম্বলি একটি সম্পর্কের মধ্যে ছিলেন, কিন্তু বিষয়টি জটিল হয়ে ওঠে, কারণ অঞ্জলি রাকেশের সঙ্গে আগেই প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন।

রাকেশ তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল 
অঞ্জলি আগে থেকেই তার (রাকেশ) সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। রাকেশ ক্রমাগত অঞ্জলিকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে অঞ্জলি জানান, কাম্বলির ফোনে তার অনেক অন্তরঙ্গ ছবি ছিল। সেও এই নিয়ে খুব চিন্তিত ছিল।  

অঞ্জলি আর রাকেশ পুরো প্ল্যান করেছিল 
এত কিছুর পর অঞ্জলি ও রাকেশ একটা প্ল্যান তৈরি করে ফেলল, কীভাবে এই ছবিগুলো কাম্বলির কাছ থেকে পাওয়া যায়। পরিকল্পনা অনুসারে, অঞ্জলি প্রথমে কলকাতা বিমানবন্দরে কাম্বলির সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে কাম্বলি কলকাতার পরিবর্তে গুয়াহাটিতে দেখা করার কথা বলেছিলেন। এ জন্য একটি পাঁচ তারকা হোটেলে রুম বুক করা হয়েছিল।  

Advertisement

মারামারির পর কাম্বলির কাছ থেকে দুটি ফোনই ছিনিয়ে নেওয়া হয়  
অঞ্জলি এবং রাকেশ একসঙ্গে গুয়াহাটিতে উড়ে গেলেন, কিন্তু সেখানে পৌঁছে দুজনেই আলাদা হয়ে যান। কাম্বলিকে না জানিয়ে, রাকেশ নিজের জন্য একই হোটেলে একটি রুম বুক করেছিল যেখানে তারা দুজন (অঞ্জলি-কাম্বলি) থাকত।

অঞ্জলি আর কাম্বলি দুজনেই একসঙ্গে হোটেলে পৌঁছেছিল, কিন্তু এর মধ্যে রাকেশও পৌঁছে গেল। রাকেশকে হোটেলে দেখে রেগে যান কাম্বলি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। কাম্বলি গুরুতর আহত হন এবং এর পরে অঞ্জলি এবং রাকেশ তাকে হোটেলে রেখে পালিয়ে যায়। মারামারির সময় দুজনেই কাম্বলির কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয়। এর মধ্যে অঞ্জলির অন্তরঙ্গ ছবি ছিল বলে অভিযোগ। 

এভাবেই অভিযুক্তের কাছে পৌঁছয় পুলিশের দল  
হোটেলের কর্মীরা দিনের বেলা রাকেশের কাছ থেকে একটি ফোন কল পেয়েছিলেন, তারপরে তারা সতর্ক হয়েছিলেন। এরপর গোটা বিষয়টি গুয়াহাটি পুলিশকে জানানো হয়। সন্দেহভাজন উভয়ের কাছে পৌঁছানোর জন্য, পুলিশ হোটেলের রেজিস্টার, সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিমানবন্দরের যাত্রীদের তালিকা অনুসন্ধান করে, যার পরে সোমবার রাত ৯:১৫ কলকাতার ফ্লাইটে উঠার আগে অঞ্জলি এবং রাকেশকে হোটেলের কাছে গ্রেফতার করা হয়। এই দুজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ মামলার আরও তদন্ত শুরু করেছে এবং ঘটনার সংযোগ ঘটানোর চেষ্টা করছে। 

Advertisement