রেলের পরীক্ষায় এক বড়সড় জালিয়াতির ঘটনা সামনে এল। জানা গিয়েছে, পরীক্ষা শুরু ৭ ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র চলে এসেছিল হোয়াটসঅ্যাপে। ওই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এক ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেই প্রশ্নপত্র বিক্রি করে দেয়। এই পরীক্ষা এনটিপিসি এবং টিসিএস-এর মাধ্যমে জুনিয়র ক্লার্ক আর কমার্শিয়াল ক্লার্ক পদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল।
রেলের তরফ থেকে ৩ জনুয়ারি এক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেখানে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল পশ্চিম রেলের ভিজিল্য়ান্স বিভাগ। আর সেখানে জানা গিয়েছে, আরআরসি র আধিকারিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার আগেই তা প্রকাশ করে দেন। একটা চক্র জাল ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে ফলাফল দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এনটিপিসি এবং টিসিএস-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং ওই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। ১২ হাজার ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় বসেছিলেন। অনলাইনে সেই পরীক্ষা হয়েছিল। সুরাট এবং তার আশপাশের এলাকায় আড়াই হাজার প্রার্থী ওই পরীক্ষায় বসেছিল।
৭ ঘণ্টা আগে রেলের পরিক্ষার প্রশ্ন পত্র লিক
জানা গিয়েছে, ২১ জানুয়ারি ভিজিল্য়ান্স বিভাগ এই ঘটনার ব্যাপারে জানতে পারে। তারা জানতে পারে যে এরকম জালিয়াতি করা হয়েছে। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে পড়ে একদল আধিকারিক। তাঁরা সাভারকুন্ডলা স্টেশনে যান। সেখানে তল্লাশি চালান। সেখানে কিছু লোককে ধরপাকড় করা হয়। এর মধ্যে জনা কয়েক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী রয়েছেন। যারা এই উচ্চ পদে যোগ দেওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
৩ জানুয়ারি ওই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল তার ৭ ঘণ্টা আগে তাদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র চলে এসেছিল। পরে দেখা যায় সেটা আসল প্রশ্নপত্র ছিল। আসল প্রশ্নপত্র সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছিল।
আরও জানা গিয়েছে এই চক্রটি দিল্লি এবং বিহার থেকে কাজ করছে। পরীক্ষা নিয়েছিল যে বেসরকারি সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এই ঘটনায় রেলের কয়েকজন আধিকারিক যুক্ত রয়েছেন।
পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা এটা প্রথম নয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এ নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাদের দাবি প্রশ্ন যদি ফাঁস হয়ে যায়, ফের হয়তো পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু তাদের অনেকটা সময় নষ্ট হবে। তাদের আরও প্রস্তুতির জন্য সময় দিতে হবে। এবং প্রচুর টাকাও নষ্ট হবে। এমন ঘটনা আটকানো যায়, সে ব্যাপারে পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক থাকার আবেদন করেছে তারা।