দড়ি, বাটাম, কোদাল, শীলের নোড়া, কাস্তে কি না নেই তালিকায়! এসবই উদ্ধার করা হয়েছে সোনারপুরের বাসিন্দা এক মহিলার কাছ থেকে। অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিন ওই মহিলা স্বামীর উপর অকথ্য অত্যাচার চালাত। কখন ধারালো অস্ত্র দিয়েও আঘাত করতে পিছপা হত না বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঠিক কী অভিযোগ
জানা গিয়েছে, ধৃত মহিলার নাম মহারানি সাঁপুই। অভিযোগ, ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের চেষ্টা করে সে। তার পরেই প্রাণ বাঁচাতে স্বামী বাবলু সাঁপুই চিৎকার শুরু করেন। সেই চিৎকার শুনে ছেলে ও প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্বামীর উপর অকথ্য অত্যাচার চালাত মহারানি। মাঝে মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়েও আঘাত করত সে। বেশ কয়েকবার কোদাল ও কাস্তের কোপ জখম হয়েছে স্বামী বাবলু সাঁপুই। এলাকাবাসীরা একাধিকবার হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। ইদানিং অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। কোনও বিষয় নিয়ে বিবাদ হলেও স্বামীকে ব্যাপক মারধর করত স্ত্রী মহারানি।
আরও পড়ুন, স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ, ক্যানিংয়ে আটক স্বামী
বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার
প্রায় ৩০ বছর আগে সোনারপুরের কালিকাপুরের বাসিন্দা বাবলু সাঁপুইয়ে সঙ্গে বিয়ে হয় মহারানি সাঁপুইয়ের। তার পর থেকেই স্বামীর উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ঘুমানোর সময়ে আচমকা গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেন মহারানি। কোনওরকমে বাবার চিৎকার শুনে ছুটে আসে ছেলে। সঙ্গে খবর দেয় পড়শিদেরও। তার পরেই ঘরের তালা ভেঙে বাবলুকে উদ্ধার করে তাঁরা। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন বাবুল। অভিযোগের ভিত্তিতে মহারানিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে মারধরে ব্যবহৃত দড়ি, বাটাম, কোদাল, কাস্তে, শীলের নোড়া ইত্যাদি। ওই মহিলার কড়া শাস্তি চেয়েছেন এলাকাবাসীরা। ওই ব্যক্তির উপর অত্যাচার করা হত বলে দাবি তাদের। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।