Woman Hacked To Death: বছর দশেক আগেই দাম্পত্য বিবাদের জেরে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। এলাকাবাসীর দাবি, তারপর থেকেই মানসিক সমস্যা দেখা দেয় শীতল প্রামাণিকের। গ্রামে প্রায়ই ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত শীতলকে। বৃহস্পতিবারও হাতে কুড়ুল নিয়ে গ্রামে ঘুরছিলেন অভিযুক্ত যুবক। সেই সময় হঠাৎই এলাকার বছর আটচল্লিশের মহিলা বেগুনি দাসের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই সময় আচমকাই বেগুনি দাসের মাথায় কুড়ুল দিয়ে কোপ দেন অভিযুক্ত। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন বেগুনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে পুলিশের দাবি।
এমনই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সময় আশপাশে অনেকেই ছিল। ঘটনার পর থেকে তাঁদের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। মালদহের চাঁচল থানার ভগবানপুর গ্রামের ঘটনা। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়। তাকে ধরে ফেলে গ্রামবাসী। চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত যুবককে। খুনে ব্যবহৃত ধারাল কুড়ুলটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়।পুলিশ জানিয়েছে,মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতলের স্ত্রী ছেড়ে গিয়েছে অনেকদিন আগেই। তারপর থেকেই হাতে কুড়ুল নিয়ে গ্রামে ঘুরে বেড়াত অভিযুক্ত শীতল। গ্রামের অনান্য মহিলাদের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই কথাকাটাকাটি হতো। গ্রামের মহিলাদের সন্দেহ করত তার বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছে তারাই। বৃহস্পতিবারো রাতে এমনই কথা কাটাকাটি চলছিল। কিন্তু কুুড়ুল দিয়ে মাথায় মেরে দেবে সে এটা ভাবতে পারেনি কেউ।
জানা গিয়েছে মৃত মহিলার বয়স ৪৮ বছর। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করে। তবে গ্রামবাসীরা তাকে নাতেনাতে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত বেগুনির দুই ছেলে ও স্বামী রয়েছে। ছেলেরা মুম্বইয়ে কর্মরত। এলাকায় শোকের ছায়া।