দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে বর্ষা। মহারাষ্ট্র থেকে রাজস্থান, বিভিন্ন রাজ্যে বেশকিছু জায়গা জলমগ্ন। নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। রাজস্থানের ফতেহপুর শেখাওয়াতির ছবিটাও কার্যত সেইরকমই। সেখানে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা থাকেন সাধারণ মানুষ। তবে এবার বৃষ্টির জেরে একপ্রকার বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
এই এলাকায় সাধারণত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি থাকে। তবে এবার বৃষ্টির জেরে ফতেহপুরে ঝুজুন রোড কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। কার্যত জলের তলায় সারনাথ মন্দির। জলে ভরে গিয়েছে রাজকীয় ধনুকা হাসপাতাল। জানা যাচ্ছে এইবছর ফতেহপুর শেখাওয়াতি এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
তবে আশ্চর্যজনকভাবে সিকার , খান্ডেলা ও ফতেহপুরে কমবেশি বৃষ্টি হলেও শুষ্ক রয়ে গিয়েছে অন্যান্য অঞ্চল। সিকার শহরের বেশকিছু জায়গায় কালো মেঘ দেখা দেয়। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি নিয়েই সন্তুষ্ট হতে হয় মানুষকে। খন্দেলা এবং আশেপাশের গ্রামগুলিতে ১১ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরে, পাহাড়ের জল শহরের প্রধান বাজারে প্রবেশ করায় একপ্রকার নদীর সৃষ্টি হয়েছে।
কোথাও কোথাও বৃষ্টিতে স্নান করতে দেখা যায় কচিকাঁচাদের। তবে জলের স্রোতে একটি বাচ্চা ভেসে যায়। যদিও কিছুদূরে তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় দোকানদারেরা। ফতেহপুরে ১ ঘণ্টার বৃষ্টিতেই জলে ভরে যায় চারিদিক।
সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ ঘণ্টায় প্রায় ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তারপর সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ ফের এক ঘণ্টা বৃষ্টি হয়। মনে করা হচ্ছে সোমবার ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়। তবে সিকার শহরে মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টি হয় সামান্যই।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এই বছর রাজস্থান সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। ১৫ ই জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সিকার জেলায় গড় বৃষ্টিপাত ছিল ১৯১ মিলিমিটার।