রবিবার ভারতের ৭৫ বছরের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাল কেল্লায় ৮৮ মিনিট ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টোকিও অলিম্পিক থেকে দেশে করোনাযোদ্ধা চিকিৎসকদের তিনি বিনম্র অভিবাদন জানান। শুধু তাই নয় অতিমারি পরিস্থিতিতে নার্স, সাধারণ মানুষেরা যেভাবে সাহসের সঙ্গে লড়াই করছেন তাতেও এদিন বাহবা দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, সরকারের বিনা হস্তক্ষেপে নাগরিকদের জীবনযাপনের সঙ্কল্প করেন।
ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ১০টি উল্লেখযোগ্য বক্তব্য-
এদিন টোকিও অলিম্পিকে পদক জয়ী ভারতীয় অলিম্পিয়ানদের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,"আসুন আমাদের অলিম্পিক বিজয়ীদের প্রশংসা করি। তাঁরা শুধু দেশকে গর্বিত করেননি, ভবিষ্যত প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করেছেন। অলিম্পিক পদকপ্রাপ্তরা জাতির জন্য গৌরব এনেছে। আমি নাগরিকদের এবং ক্রীড়াবিদদের বলতে চাই, অবশ্যই আমাদের ক্রীড়াবিদদের সম্মান করতে হবে।"
৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণের সময় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার ১০০ বছরের ব্লুপ্রিন্ট উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, "আমাদের লক্ষ্য হল ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপে দেশ গড়ে তোলা।"
দেশের চিকিৎসক, নার্স, বিজ্ঞানী এবং সকল নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "ভারতীয়রা অনেক ধৈর্য্যের সঙ্গে করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন। অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হয়েছি। আমাদের শিল্পপতি এবং বিজ্ঞানীদের শক্তিতে আজ ভারতে করোনার টিকা দেওয়ার জন্য অন্য কোন দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়নি।"
জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উন্নয়ন স্থলভাগে দৃশ্যমান। জম্মু -কাশ্মীরে একটি সীমাবদ্ধতা কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।"
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উন্নয়নের ভারতের লক্ষ্যকে অগ্রসর করে তুলে ধরে বলেন, "আমাদের সব লক্ষ্য অর্জনের জন্য 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং এখন সবকা প্রয়াসও' খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"
কৃষকদের উদ্দেশে এদিন তিনি বলেন, "আগামী বছরগুলিতে আমাদের দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের যৌথ শক্তি বাড়াতে হবে। আমাদের তাদের নতুন সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। তাঁরা অবশ্যই দেশের গর্ব হবে।"
তিনি আরও বলেন, "বড় পরিবর্তন এবং বড় সংস্কার আনতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। আজ, বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে ভারতে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির কোন অভাব নেই। সংস্কার আনতে প্রয়োজন। ভারত কীভাবে শাসনের নতুন অধ্যায় রচনা করছে তার সাক্ষী গোটা বিশ্ব।"
"একটা সময় ছিল যখন খেলাধুলাকে মূলধারার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হত না। বাবা -মা শিশুদের বলতেন যে তারা খেলতে থাকলে তাদের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। এখন দেশে খেলাধুলা এবং ফিটনেস সম্পর্কে সচেতনতা এসেছে। আমাদের কাছে এবারের অলিম্পিকেই এটি প্রমাণ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "আমাদের যুবক, কৃষক এবং পরবর্তী প্রজন্মের প্রতি আজকের সংকল্পের জন্য ২০৪৭-এ সিদ্ধিলাভের প্রতি আস্থা আছে। তাই, একসঙ্গে স্বপ্ন দেখার, একত্রিত হয়ে কাজ করার ও একসঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করার সঠিক সময় এটি। "