প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবারই জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন মোদী। এই নিয়ে টানা সাত বছর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি কাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার তিনি জয়সলমিরের লোঙ্গেওয়ালা সেনা ছাউনিতে যান।
দেশের সুরক্ষায় ব্যস্ত সেনা জওয়ানদের সম্মানে প্রত্যেক দেশবাসীকে বাড়িতে একটি করে প্রদীপ জ্বালানোর আর্জি আগেই জানিয়েছিলেন মোদী।
দীপাবলি উপলক্ষে শনিবার সকালেই ট্যুইটে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘দীপাবলিতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা। এই উথসব সবার জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আনুক। প্রত্যেকে সুস্থ থাকুন।’
শুক্রবারই জম্মু-কাশ্মীরের ভারত-পাক সীমান্তে অতর্কিতে পাক সেনার গুলি বর্ষণে পাঁচ সেনা জওয়ান সহ ১১ জনের প্রাণ গিয়েছে। ভারতও যোগ্য জবাব দিয়েছে। খতম করা হয়েছে কমপক্ষে ৮ জন পাক সেনাকে। এই পরিস্থিতিতে সেনাদের মাঝে মোদীর সময় কাটানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
জয়সলমিরের লোঙ্গেওয়ালায় দাঁড়িয়ে এদিন মোদী ফিরে গিয়েছিলেন ১৯৭১ সালে লোঙ্গেওয়ালা পোস্টে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের প্রসঙ্গে। সেদিনের যুদ্ধে যে সব সেনা প্রাণ বলিদান দিয়েছিলেন, তাঁদের উদ্দেশে মোদী বলেন, ’’ লোঙ্গেওয়ালায় সেনাদের বীরত্বের কথা কেউ ভোলেনি। ব্রিগেডিয়ার কুলদীপ সিংহ চাঁদপুরীকে দেশ আজও সেলাম করে। সেদিনের যুদ্ধে তিনিই ছিলেন হিরো। ভারতের সেনার শক্তি কতটা তা তিনিই সেদিন পাক বাহিনীকে বুঝিয়েছিলেন।‘‘
দীপাবলির দিনে জলসলমিরের লোঙ্গেওয়ালা থেকে সেই লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে বার্তা দিলেন বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত।
তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান, সন্ত্রাসবাদ ও অন্যান্য সমস্যার মাঝে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সফল ভারতীয় সেনাবাহিনী যার পিছনে রয়েছে পূর্ণ রাজনৈতিক সমর্থন। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসে মদতকারী দেশগুলি সহ গোটা বিশ্ব দেখেছে, প্রয়োজনে অন্য দেশে প্রবেশ করেও সন্ত্রাসবাদীদের খতম করতে পারে ভারতীয় সেনা।’