একসময় অনুব্রত মণ্ডলের 'গুড়-বাতাসা' ডায়লগ উঠে এসেছিল সংবাদ শিরোনামে। আর এবার তাঁর দিল্লি যাত্রার আগে রাজধানীর রাজপথে নেমে গুড়-বাতাসা বিলি করলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। গরু পাচার মালায় আজ রাতেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লি পৌঁছচ্ছে ইডি। আগামিকাল তাঁকে পেশ করা হবে আদালতে। আর গোটা প্রক্রিয়ার মাঝে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, তার জন্য তৎপর ইডি (ED) কর্তারা।
দোল খেলা শেষ করে মঙ্গলবার দুপুরে পর গুড়-বাতাসা বিলি করতে দিল্লির রাস্তায় নেমে পড়েন অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। নীল পাজামা, গলায় গেরুয়া উড়নি ও কপালে আবীরের তিলক কেটে এবং হাতে একটি মাটির সরায় গুড়-বাতাসা নিয়ে বিলি করতে দেখা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদককে। সূত্র মারফৎ যা জানা যাচ্ছে, সেই অনুযায়ী, দিল্লির তিহার জেলেই (Tihar Jail) হয়তো রাখা হবে অনুব্রতকে। সেক্ষেত্রে তিহার জেলে অনুব্রতর কাছেও গুড়-বাতাসা পাঠাবেন বলে এদিন জানান অনুপম।
শুধু গুড়-বাতাসাতেই থেমে থাকেননি অনুপম হাজরা। এদিন তাঁর মুখে শোনা যায় অনুব্রতর 'চড়াম চড়াম' ডায়লগও। অনুপম বলেন, "যদি উনি (অনুব্রত মণ্ডল) রাজসাক্ষী হয়ে যান, তাহলে ওঁর জন্য ভাল। তবে ওঁর পিঠে চড়াম চড়াম করে পেটালে বড়-বড় নাম সামনে আসবে"। প্রসঙ্গত, তৃণমূলে থাকাকালীন কেষ্টর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন অনুপম।
দোলের দিন সকালেই অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বের করে কলকাতায় আনা হয়। পথে শক্তিগড়ে ব্রেকফাস্টের জন্য থামে কেষ্টর কনভয়। পুলিশি নিরাপত্তায় দোকানের ভিতরে চলে যান অনুব্রত। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসে খাবার। চারটি কচুরি, সঙ্গে ঘন ছোলার ডাল। শেষপাতে ল্যাংচা এবং রাজভোগ। খাবার ও জল খেয়ে, মুখ মুছে কেষ্ট আবার গিয়ে বসেন পুলিশের গাড়িতে। এরপরেই কনভয় আবার দৌড়ায় জোকা ইএসআই হাসপাতালের উদ্দেশে। জোকা ইএসআই-তে ফিট সার্টিফিকেট পাওয়ার পরেই অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় ইডি।
আরও পড়ুন - এই তারিখের মধ্যে করুন আয়কর দাখিল, নইলে জরিমানা