৭৩ তম সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে গর্জে উঠলেন গেল ভারতের সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। ভারতের দুই প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চিন দু'তরফের দিকেই এদিন নিশানা শানিয়েছেন সেনা প্রধান। নারাভানে দাবি করেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের জন্য জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩০০ থেকে ৪০০ জঙ্গি অপেক্ষা করছে। সেই সঙ্গে গত একবছরে পাকিস্তান ৪৪ শতাংশ বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এমন তথ্যও দেন। সেনপ্রধান জানান, গত এক বছরে অনুপ্রবেশের সয় ২০০ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা।
চলতি সপ্তাহেই সেনার বার্ষিক সাংবাদিক সম্মেলনে সেনাপ্রধান চিন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমান্তে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ এনেছিলেন। দুই দেশের আঁতাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না এমন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। সেদিন যেখান থেকে আক্রমণ শেষ করেছিলেন নারাভানে আজ যেন সেখান থেকেই এদিন শুরু করলেন চিন ও পাকিস্তানকে তোপ দাগা। লাদাখের সাম্প্রতিক অশান্তির জন্য শুক্রবার সরাসরি চিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নারাভানে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-র স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য একতরফা ষড়যন্ত্র করছে চিন।’’একইসঙ্গে গত বছর থেকেই সংঘর্ষের আবহে চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে, স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ভারতীয় সেনার তরফে যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা যথাযথ ও যুগপোযোগী ছিল বলেও এদিন জোরালো সওয়াল করতে দেখা গেছে নারাভানেকে।
দিল্লি ক্যানটনমেন্টের প্যারেড গ্রাউন্ডে চিন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় সেনাদের ধৈর্য পরীক্ষা নেওয়ার মত ভুল যেন কেউ না করে। পূর্ব লাদাখে একতরফা ভাবে কেউ স্থিতাবস্থা বদল করতে চাইলে তারও কড়া জবাব দেওয়া হবে। একইসাথে গালওয়ানের বীর শহিদদের আত্মবলিদান বিফলে যাবে না বলেও এদিন ফের আওয়াজ তোলেন নারাভানে। একইসাথে শান্তিপূর্ণ আলোচনা, ও কটনৈতিক পন্থাতেই ভারত যে লাদাখের স্থিতাবস্থা ফেরাতে বদ্ধপরিকর তা এদিন আবারও বুঝিয়ে দেন নারাভানে। তবে কেউ যদি এখনও পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে আসে তবে তার ফল ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। দুই পড়শি দেশের উদ্দেশে ভারতীয় সেনার প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানের এদিনহুঁশিয়ারি, ‘‘কেউ যেন আমাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেওয়ার ভুল না করে।’’