scorecardresearch
 

Congress Chintan Shivir: ৩ দিনে কংগ্রেসের 'চিন্তা'য় ৫ প্রশ্ন, উদয়পুরে কি সদুত্তর?

স্বাধীনতার পর সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলছে কংগ্রেস। মাত্র দু'টি রাজ্য তাদের হাতে - ছত্তিসগঢ় এবং রাজস্থান। সেই রাজস্থানের উদয়পুরে শুক্রবার থেকে বসেছে তিন দিনের 'নব সংকল্প চিন্তন শিবির'।

Advertisement
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের চিন্তন বৈঠক। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের চিন্তন বৈঠক।
হাইলাইটস
  • উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির।
  • নেতৃত্ব নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত হতে পারে।
  • মোদী-শাহকে মাত দেওয়ার কী কৌশল?

২০১৪ সালে কংগ্রেসমুক্ত ভারত গঠনের ডাক দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কার্যত সেটাই হয়েছে মোদীর ৮ বছরের শাসনকালে। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলছে কংগ্রেস। মাত্র দু'টি রাজ্য তাদের হাতে - ছত্তিসগঢ় এবং রাজস্থান। সেই রাজস্থানের উদয়পুরে শুক্রবার থেকে বসেছে তিন দিনের 'নব সংকল্প চিন্তন শিবির'। ছ'টি ভাগে ৪০০ প্রতিনিধি যোগ দেবেন এই বৈঠকে। দুপুর ৩টে নাগাদ সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর ভাষণের মাধ্যমে শুরু হবে চিন্তন শিবির। 

বর্তমান পরিস্থিতিতে তিন দিনের চিন্তন বৈঠকে যে পাঁচ প্রশ্নের খোঁজ চালাবে কংগ্রেস- 

১। নেতৃত্ব

নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে কংগ্রেস। সেই ২০১৯ সাল থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হয়ে রয়েছেন সনিয়া গান্ধী। দলে স্থায়ী সভাপতি নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিকল্প হতে গেলে নেতৃত্বের এই গড়মসি ছেড়ে স্থায়ী সভাপতি চাই কংগ্রেসের। ২০২০ সালের অগাস্টে জি-২৩ বা বিদ্রোহী শিবিরের নেতারাও চিঠি দিয়ে নেতৃত্ব বদলের দাবি করেছিলেন। বস্তুত ওই চিঠির নিশানায় ছিলেন রাহুল গান্ধী। 

২। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

কঠিন পরিস্থিতিতেও কংগ্রেসের অন্তর্কলহ থামার নাম নেই। নভজ্যোত সিং সিধু ও ক্য়াপ্টেন অমরেন্দ্র সিংয়ের বিবাদে পঞ্জাব হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। রাজস্থানেও সচিন পাইলট ও অশোক গহলৌতের শিবিরের মধ্যে টানাটানি। গুজরাটেও হার্দিক পটেল প্রদেশ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। বিভিন্ন রাজ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার কংগ্রেস। জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারাও গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে সরব। রাজস্থানের চিন্তন শিবিরে ওই গোষ্ঠীর নেতাদের আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। এমন ৫০ জন নেতাকে ডাকা হয়েছে যাঁরা কোনও পদে নেই। 

৩। মোদী-শাহকে হারানোর কৌশল

২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকে কংগ্রেসের পায়ের তলার জমি সরছে। একের পর এক রাজ্যে হারছে তারা। গত ৫টি রাজ্যের নির্বাচনে একটিতেও জয় পায়নি। উল্টে পঞ্জাব ক্ষমতাচ্যুত। মাত্র দু'টি রাজ্যে কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী। আর লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে ১০০-রও কম সাংসদ। আর কংগ্রেসের গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে আম আদমি পার্টি আর তৃণমূলের মতো দলগুলি। গোয়া, মেঘালয়, অসমে কংগ্রেসকে ভেঙেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। অন্যদিকে, পঞ্জাবে কংগ্রেসের বিকল্প হয়ে উঠেছে আম আদমি পার্টি। এই পরিস্থিতিতে চাই আগামীর পোক্ত রণনীতি। ২০২৪ সালের আগে ১১ রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। ওই রাজ্যগুলিতে ভাল ফল করা জরুরি।      

Advertisement

৪। একলা চলো না জোট? 

তৃতীয় জোট করে বিজেপিকে হারানো সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর দাবি, জাতীয়স্তরে কংগ্রেসকে রেখেই বিজেপির মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু এই দুর্বল কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আগ্রহী নয় সিংহভাগ দল। যেমন রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে আপত্তি রয়েছে তৃণমূলের। উত্তর ভারত কংগ্রেসের হাতে নেই। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে কংগ্রেস কার্যত সাইনবোর্ড। ফলে সেই সব রাজ্যে জোট করতে হলে কংগ্রেসকে অতীত গরিমা ছেড়ে তৃণমূল, আরজেডি, সপা-র মতো দলগুলির সহযোগী হয়ে কাজ করতে হবে। কংগ্রেসের দাদাগিরি তারা মানবে না। 

৫। রাহুলই দলের মুখ?

রাহুলের নেতৃত্বে একের পর এক রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। ২০১৪ সাল থেকে টানা হেরে চলেছে দল। ২০১৯ সালে পরাজয়ের পর সভাপতি পদ ছেড়ে দেন সনিয়া-তনয়। সনিয়া অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর পদ সামলাচ্ছেন। কিন্তু নেপথ্যে থেকে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন রাহুল। পদে না থাকলেও দলের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই। যা নিয়ে জি-২৩ শিবিরের নেতারাই আপত্তি তুলেছিলেন। তাঁরা চেয়েছিলেন সভাপতি কাউকে করা হোক। চিন্তন শিবিরের গান্ধী ঘনিষ্ঠ নেতারা রাহুলকে ফেরানোর দাবিই তুলবেন। একটা অংশ প্রিয়াঙ্কাকেও চাইতে পারেন। তবে রাহুলের দিকেই পাল্লাভারী। রাহুলই ফিরবেন কিনা তা ঠিক হবে বৈঠকেই।    

আরও পড়ুন- ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া, মোদীকে চিঠি মমতার

Advertisement