scorecardresearch
 

Black Fungus : এবার আতঙ্ক 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস'! দিল্লিতে মৃত ১

তিনি আরও জানান, তাঁর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর চিকিৎসা চলছিল বাড়িতেই। তাঁর উচ্চ রক্তচাপ ছিল।

Advertisement
দেশে চিন্তা বাড়াচ্ছে 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস' সংক্রমণ (প্রতীকি ছবি) দেশে চিন্তা বাড়াচ্ছে 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস' সংক্রমণ (প্রতীকি ছবি)
হাইলাইটস
  • ভারতে একা করোনায় রক্ষে নেই
  • তার দোসর জুটেছে নয়া রোগ, নাম মিউকরমাইকোসিস
  • দিল্লিতে মারা গেলেন এক রোগী

ভারতে একা করোনায় রক্ষে নেই। তার দোসর জুটেছে নয়া রোগ। নাম মিউকরমাইকোসিস। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বেড়ে চলেছে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। দিল্লিতেও একই অবস্থা।

সেখানকার মূলচন্দ হাসপাতালে ১৬ মে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আর একজনের মৃত্যু হয়েছে। মূলচন্দ হাসপাতালের ডাঃ ভগবান মন্ত্রী এ ব্য়াপারে বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, মেরঠের বাসিন্দা সংক্রামিত হয়েছেন। তাঁর বয়স ৩৭ বছর। তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন।

তিনি আরও জানান, তাঁর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর চিকিৎসা চলছিল বাড়িতেই। তাঁর উচ্চ রক্তচাপ ছিল।

ওই রোগীকে ১৬ মে মূলচন্দ হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর চোখ ফোলা ছিল। আর শরীরও ফোলা ফোলা লাগছিল। তাংর চোখ লাল হয়ে ছিল। এর পাশাপাশি তাঁর নাক থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। তখন তাঁর শারীরিক পক্ষীরা করানো হয়। আর জানতে পারা যায় তাঁর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয়েছে। তারপর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে তাঁদের চেষ্টা সফল হয়নি। অস্ত্রোপচার করা হলেও রোগীকে বাঁচানো যায়নি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এই রোগে মৃত্যু হার অত্যন্ত বেশি।

এদিকে, এই রোগ বেড়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে ওষুধের সমস্যা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে না এই রোগের ওষুধ। যা সমস্যা আরও বাড়িয়েছে।

কেন এই পরিস্থিতি
এর কারণ মিউকরমাইকোসিস রোগের চিকিৎসায় লাগে একটি ওষুধ। অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধটির নাম 'অ্যাম্ফোটেরিসিন বি'। যার চাহিদা গত কয়েক সপ্তাহে প্রবল বেড়ে গিয়েছে। আর তাই এই সমস্যা। ওষুধ নিয়ে হাহাকরা পড়ে গিয়েছে বললে ভুল বলা হবে না।

যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন এবং যাঁরা সেরে উঠেছেন- দুই ধরনের রোগের চিকিৎয়াতেই লাগে এই ওষুধ। তাই এর চাহিদা মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৫২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে।

Advertisement

মহারাষ্ট্র

তাঁরা সবাই এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে পরে তাঁরা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হন এবং মৃত্যু হয়। মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে জানিয়েছিলেন, রাজ্যে দেড় হাজারের মতো মানুষ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা পাওয়া গিয়েছে।

এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র পুনে জেলা থেকেই ২৭০টি কেসের কথা জানতে পারে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের প্রতিবেশী রাজ্য গুজরাতে এখনও পর্যন্ত ৪০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। এর মধ্যে সুরাটে ৮ জন রয়েছেন।

উত্তরপ্রদেশে
লাইপোসোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ইঞ্জেকশনের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। বেশ কিছু মানুষ বিরল ওই সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। আর তাই ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।

ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে কথা বলছিলেন লখনউ কেমিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মুথপাত্র মায়াঙ্ক রস্তোগি। তিনি জানান, গত সপ্তাহে এই ইঞ্জেকশন সহজেই পাওয়া যাচ্ছিল। তবে এখন সহজে তা মিলছে না। দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের সব ওষুধের দোকানে তা মিলছিল।

তিনি আরও জানান, এর আগে ৩-৪ জন মানুষ আসতেন ওই ওষুধের খোঁজে। তবে এখন তা বেড়ে গিয়েছে। আর হয়ছে ৫-৬। ফলে সমস্যা হচ্ছে।

এক পক্ষকালের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করেন তিনি। জানান, আমার মনে হয়, দিন ১৫-র মধ্যে সরবরাহ ঠিক হয়ে যাবে। ওই ওষুধের দাম ৪,৫০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা। নির্ভর করছে কোন সংস্থার ওষুধ, তার ওপর।

 

Advertisement