Delhi Restaurant Incident: দিন কয়েক আগেকার ঘটনা। দিল্লির এক রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, শাড়ি পরে থাকায় তারা এক মহিলাকে ঢুকতে দেয়নি। স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগে দক্ষিণ দিল্লি পুরসভা (এসডিএমসি বা South Delhi Municipal Corporation) তা বন্ধ করার নোটিশ ধরাল তাদের।
পুরসভা যা জানাচ্ছে
দক্ষিণ দিল্লি পুরসভার মেয়র মুকেশ সূর্যান বুধবার বলেন, অ্যাকুইলা রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সেটি রয়েছে অ্যান্ড্ুরজ গঞ্জে অনসল প্লাজায়। বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই সেটি চলছিল।
দিন কয়েক আগে দেওয়া হয়েছে
সেই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে ২৪ সেপ্টেম্বর নোটিশ ধরানো হয়েছে। এরিয়া পাবলিক হেলথ ইন্সপেক্টর সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তখন তাঁর নজরে আসে স্বাস্থ্য লাইসেন্স ছাড়াই সেখানে ব্যবসা চলছে। এর পাশাপাশি আরও অভিযোগ, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছিল না এবং জমি দখল করা হয়েছিল।
কী বলা হয়েছে নোটিশে?
সেখানে বলা হয়েছে, পাবলিক হেলথ ইন্সপেক্টর ২৪ সেপ্টেম্বর ফের সেখানে পরিদর্শনে যান। এবং দেখা যায় একই অবস্থায় সেখানে ব্য়বসা চলছে। আপনাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, এই নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার। আর তা মানা না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং সে ক্ষেত্রে তাদের কিছু জানানো হবে না।
রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে
নোটিশের জবাবে ওই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বন্ধ করে দিয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে মালিক জানিয়েছেন, নোটিশ পাওয়ার পরই তিনি তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এবং লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত তিনি তা চালু করবেন না।
এর আগে অভিযোগ বিদ্ধ
শাড়ি পরে থাকায় দিল্লির এক মলে এক মহিলাকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সে সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।
Saree is not allowed in Aquila restaurant as Indian Saree is now not an smart outfit.What is the concrete definition of Smart outfit plz tell me @AmitShah @HardeepSPuri @CPDelhi @NCWIndia
— anita choudhary (@anitachoudhary) September 20, 2021
Please define smart outfit so I will stop wearing saree @PMishra_Journo #lovesaree pic.twitter.com/c9nsXNJOAO
শাড়ি পরার 'অপরাধে'
শাড়িকে ঐতিহ্যবাহী পোশাক হিসেবে ধরা হয়। ভারতীয় নারী আর শাড়ি যেন অনেকটাই সম্পৃক্ত। এ দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে শাড়ি অঙ্গাগিভাগে জড়িত। অথচ শাড়ি পরার 'অপরাধে' এক মহিলাকে ঢুকতেই দেওয়া হল না রেস্তোরাঁয়। গোটা ঘটনার ভিডিও করেছেন ওই মহিলা। আর তা এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
একের পর এক অভিযোগ
ওই মহিলা ক্যাপশনে আরও লিখেছেন, 'আমি একজন বিবাহিত মহিলা। আমি শাড়ি পরে বিয়ে করেছি। আমার ২ মেয়ে আছে। তারাও শাড়ি পরে। আমি নিজেও শাড়ি ভালোবাসি। আমি বিশ্বাস করি শাড়ি হল সবথেকে জনপ্রিয় পোশাক।'
ওই মহিলা তাঁর ভিডিওতে আরও দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করার কারণে তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। দেশের কি নির্দিষ্ট পোশাকবিধি রয়েছে? এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।