scorecardresearch
 

E-Census in India Amit Shah : ই-সেনসাস খুলবে NRC-র রাস্তা? জন্ম-মৃত্যু- সব রেকর্ড থাকবে কেন্দ্রের কাছে

E-Census in India Amit Shah: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার অসমে ঘোষণা করেছেন যে পরবর্তী জনশুমারি ইলেকট্রনিকভাবে (ই-শুমারি) করা হবে। যা ১০০ শতাংশ নির্ভুল হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, আদমশুমারির সময় এক রেজিস্টার তৈরি করা হবে। ১৮ বছর পর কোনও শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হলে তার নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে। এই ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

Advertisement
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
হাইলাইটস
  • কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার অসমে ঘোষণা করেছেন যে পরবর্তী জনশুমারি ইলেকট্রনিকভাবে (ই-শুমারি) করা হবে
  • যা ১০০ শতাংশ নির্ভুল হবে
  • কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, আদমশুমারির সময় এক রেজিস্টার তৈরি করা হবে

E-Census in India Amit Shah: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার অসমে ঘোষণা করেছেন যে পরবর্তী জনগণনা ইলেকট্রনিকভাবে (ই-শুমারি বা E-Census) করা হবে। যা ১০০ শতাংশ নির্ভুল হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, আদমশুমারির সময় এক রেজিস্টার তৈরি করা হবে। ১৮ বছর পর কোনও শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হলে তার নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে। এই ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘোষণার পর এনআরসি নিয়ে আলোচনাও জরুরি। এ নিয়ে দেশজুড়ে চলছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে সরকার ই-সেন্সাসের মাধ্যমে এনআরসির দরজা খুলছে কি না। এ নিয়ে আলোচনার আগে জেনে নেওয়া দরকার এনআরসি (NRC) কী?

NRC কী?
আসলে এনআরসি অর্থাৎ ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন একটি রেজিস্টার। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে যে এই রেজিস্টারে ভারতে বসবাসকারী সমস্ত বৈধ নাগরিকের রেকর্ড রাখা হবে। NRC বর্তমানে শুধুমাত্র অসমে প্রযোজ্য। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন যে এনআরসি সারা দেশে কার্যকর করা হবে। মনে রাখা দরকার, NRC-তে শুধুমাত্র বৈধ নাগরিকদের নথি রাখা হবে।

আরও পড়ুন: আখরোটের চাটনি-গোস্তাবা, শহরে খাস কাশ্মিরী খানার দাওয়াত শালওয়ালাদের

আরও পড়ুন: আপনার পার্টনারের এই ৬ জিনিস খেয়াল করুন, আসল জিনিস জানতে পারবেন

আরও পড়ুন: Sara Ali Khan চুলে নীল রং করালেন, নতুন প্রোজেক্ট শুরু?

এনআরসির বিরোধিতা কেন?
২০১৯ সালে, ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর সঙ্গে NRC-এরও বিরোধিতা করেছিল বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠন। এনআরসিতে নাগরিকত্ব প্রমাণ করার দায়িত্ব ব্যক্তিদের ওপর থাকবে। বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠন-সহ অনেক এনজিও যুক্তি দেয় যে কোনও ব্যক্তি যদি নথির অভাবে তাঁর নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারেন, তবে এই অবস্থায় তিনি ভারতের নাগরিক থাকতে পারবেন না। তাঁরা বলছেন, দেশে কোটি কোটি দরিদ্র-বাস্তুহারা মানুষ রয়েছেন, যাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণের বৈধ কাগজপত্র নেই। এনআরসি কার্যকর হলে তাঁরা এর শিকার হবে।

Advertisement

এনআরসি কি ই-সেনসাসের সিক্যুয়াল?
এবার ই-শুমারি সম্পর্কে কথা বলা যাক। সোমবার আদমশুমারি ভবনের উদ্বোধন করে অমিত শাহ বলেন, ই-শুমারি হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল। তিনি বলেন, সন্তানের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার রেকর্ড ই-শুমারির মাধ্যমে তৈরি রেজিস্টারে প্রবেশ করানো হবে। এই শিশুর বয়স যখন ১৮ বছর হবে, তখন আদমশুমারি বিভাগ তার রেকর্ড নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে। যেখান থেকে তার নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হবে। একইভাবে কোনও ভোটার মারা গেলে নির্বাচন কমিশন জনশুমারি বিভাগকে তা জানাবে। এবং সেখান থেকে তার নাম মুছে ফেলা হবে।

এই ভাবে আদমশুমারির রেজিস্টার ও ভোটার তালিকায় ভুয়া নাম ফাঁসের সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে যাবে। অমিত শাহ বলেছেন যে এই পুরো প্রক্রিয়ার জন্য একটি সফ্টওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। আদমশুমারি রেজিস্ট্রার প্রযুক্তির কারণে এতে জালিয়াতি করা অসম্ভব। তিনি বলেন, এই রেজিস্টারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য সংযোজন ও মোছা অব্যাহত থাকবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে নাগরিক রেজিস্টার ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় করা হবে। এতে দেশে প্রতিটি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করা হবে। অর্থাৎ আদমশুমারির রেজিস্টার স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে যাবে।

এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় নাম পরিবর্তন হবে
অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেছিলেন যে আদমশুমারিকে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। এটাই সময়ের প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ বাড়ি বদল করলে, নতুন করে রেজিস্ট্রি করলে এসএমএস পাবেন। এতে ওই ব্যক্তিকে কিছু প্রশ্ন করা হবে। যদি ব্যক্তি বলেন যে তিনি এই বাড়িটি থাকার জন্য নিয়েছেন, তাহলে ভোটার তালিকায় তাঁর নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্তমান থেকে নতুন জায়গায় চলে যাবে। অমিত শাহ বলেছেন যে আদমশুমারি রেজিস্টার থেকে নাগরিকরা ঘন ঘন তাদের ঠিকানা পরিবর্তন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। সরকারের অনেক বিভাগও সহজ হবে।

আদমশুমারি রেজিস্টার পরবর্তী ২৫ বছরের নীতির ভিত্তি হবে
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল আদমশুমারি সফল করা দেশের জন্য খুবই জরুরি। তিনি বলেন, পরবর্তী ই-শুমারি হবে আগামী ২৫ বছরের নীতির ভিত্তি। তিনি বলেন, আদমশুমারি নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধুমাত্র জনগণনাই বলতে পারেন উন্নয়নের অবস্থা কী, এসসি ও এসটি এবং পাহাড়, শহর ও গ্রামের মানুষের জীবনধারা কী? সরকারি স্কিম থেকে তারা কী কী সুবিধা পেয়েছে? শাহ বলেছিলেন যে আদমশুমারির তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বলে দেবে কোথায় পানীয় জলের প্রয়োজন, কোথায় শিক্ষা এবং কোথায় স্বাস্থ্য সুবিধা। সরকারও এর ভিত্তিতে নীতি প্রণয়ন করবে।

২০২৪ সালের আগে আদমশুমারি রেজিস্টার এনআরসির ভিত্তি হতে পারে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি অনুযায়ী, যদি ২০২৪ সালের আগে আদমশুমারি রেজিস্টার প্রস্তুত হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার দেশে বসবাসকারী বৈধ নাগরিকদের একটি তালিকা পাবে। যা বেশ বড়সড় এবং ত্রুটিমুক্ত হবে। 

এই আদমশুমারি রেজিস্টার এনআরসি প্রস্তুত করার জন্য একটি নীলনকসা হিসাবে কাজ করতে পারে। কারণ এনআরসিতেও সরকার সেই সমস্ত নাগরিকদের তথ্য চায়, যাঁরা ভারতের বৈধ নাগরিক এবং আদমশুমারি রেজিস্টারও প্রায় এই পরিসংখ্যানগুলোর একটা নথি। একবার আদমশুমারি রেজিস্টার প্রস্তুত হয়ে গেলে, যাঁরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে, তাঁদের জন্য বা তাদের নাম রেজিস্টার করা প্রায় অসম্ভব হবে।

 

Advertisement