কেন্দ্রের পাশ করা ৩ আইন প্রত্যাহার করা হবে। এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে প্রশ্ন উঠছে, কৃষি আইন তো প্রত্যাহার করা হল। তাহলে কবে কৃষকদের এই আন্দোলন তুলে নেবে? কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত এই প্রসঙ্গে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী সরকারি চ্যানেলে এই ঘোষণা করেছেন, এটা সত্যি। কিন্তু, আগামিকাল যদি আমরা এই প্রসঙ্গে কারও সঙ্গে কথা বলতে চাই, তাহলে কার সঙ্গে কথা বলব?'
আরও পড়ুন : 'কৃষি আইন ছিল কৃষকদের স্বার্থেই', এখনও বলছেন দিলীপ
রাকেশ টিকাইত বলেন, প্রধানমন্ত্রী খুবই নরম সুরে কথা বলছেন। এতটাও নরম হওয়া ঠিক ঠেকছে না। প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা মধুর থেকেও মিষ্টি। তাঁর কথায়, 'যে মিষ্টি ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে, তা কথোপকথনে রাখুন। রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসতে দেখে আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে উনি কী কারণে প্রত্যাহার করেছেন, তা আমি কোনওদিন জানতে চাই না। শুধু চাই, আমাদের দাবি যেন পূরণ হয়ে যায়।'
রাকেশ টিকাইত বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী আমাদের উপর আঘাত করেছেন। তিনি নিজেদের লোকের পরামর্শও নেন না। তিনি বলেন, ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (MSP) বাড়াতে হবে। ফাঁদে না পড়ে সরকার আমাদের কথা মানতেই চায়নি। সরকার যদি ফাঁদে না পড়ে রাজি হয়, তবে আমাদের জানান। তবে আমরা অবস্থানে অনড় থাকব।'
আরও পড়ুন : যৌনতার সময়ে পুরুষাঙ্গের মাপ আদৌ গুরুত্বপূর্ণ? কী বলছে সমীক্ষা
প্রসঙ্গত, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত (Rakesh Tikait) শনিবারই জানিয়েছেন, 'আন্দোলন এখনই থামবে না। সংসদে কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কথা বলে তারও সমাধান প্রয়োজন।'
রাকেশ টিকাইত শনিবার আরও জানান, কৃষক আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে এদিনই বৈঠকে বসবেন কৃষকরা। তাঁরা ঠিক করবেন ভবিষ্যতের কর্মসূচি। তবে পার্লামেন্ট থেকে এই আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন যে চলবে, তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন রাকেশ টিকাইত।
প্রসঙ্গত, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা। সেই থেকে এখনও আন্দোলন চলছে।