scorecardresearch
 

Kedarnath Dham: কেদারনাথ মন্দির নিয়ে ভয় পাচ্ছেন পুরোহিতরা, দিনরাত পাহারা; কী এমন হল?

Kedarnath Dham: কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনার আস্তরণ দেওয়া নিয়ে বিরোধিতা তীব্র হচ্ছে। কেদারনাথ ধামের পুরোহিতরা ভয় পাচ্ছেন মন্দির কমিটি রাতে সোনার প্রলেপ দেওয়ার কাজ না শুরু করে দেয়। তাই তীর্থ পুরোহিতরা রাতেরও মন্দিরের বাইরে পাহারা দিচ্ছেন।

Advertisement
কেদারনাথ ধাম কেদারনাথ ধাম
হাইলাইটস
  • কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনার আস্তরণ দেওয়া নিয়ে বিরোধিতা তীব্র হচ্ছে
  • মন্দিরের এই অংশে ইতিমধ্যেই ২৩০ কেজি রুপো দিয়ে তৈরি একটি স্তর রয়েছে
  • কোনও অবস্থাতেই মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনার স্তর দিতে দেওয়া হবে না

Kedarnath Dham: কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনার আস্তরণ দেওয়া নিয়ে বিরোধিতা তীব্র হচ্ছে। কেদারনাথ ধামের পুরোহিতরা ভয় পাচ্ছেন মন্দির কমিটি রাতে সোনার প্রলেপ দেওয়ার কাজ না শুরু করে দেয়। তাই তীর্থ পুরোহিতরা রাতেরও মন্দিরের বাইরে পাহারা দিচ্ছেন।

মহারাষ্ট্রের এক বড় দাতা কেদারনাথ মন্দিরের ভিতরের অংশে অর্থাৎ গর্ভগৃহে সোনার আস্তরণে মুড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। মন্দিরের এই অংশে ইতিমধ্যেই ২৩০ কেজি রুপো দিয়ে তৈরি একটি স্তর রয়েছে। বর্তমানে রুপোর স্তর সরিয়ে তামার স্তর প্রয়োগ করে ট্রায়াল শুরু হয়েছে এবং এর প্রতিবাদে নেমেছেন ধামের পুরোহিতরা।

বাবা কেদারনাথের ধাম, মোক্ষের ধাম

তীর্থের পুরোহিতরা বলেছেন, কেদারনাথ ধাম হল মোক্ষধাম। ভক্তরা এখানে বাবা কেদারকে দেখে মোক্ষ লাভের জন্য আসেন, সোনা-রুপো দেখতে নয়। মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনা-রুপোর প্রলেপ দিয়ে পৌরাণিক ঐতিহ্যের খেলা চলছে। আজ পর্যন্ত এখানে সোনা ছিল না, তাই পুণ্যার্থীরা দর্শনে আসছিলেন না, এমন নয়। তীর্থের পুরোহিতরা বলছেন, এই বিষয়ে বদ্রী-কেদার মন্দির কমিটির সিইও-কে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনা নিবেদনের কাজ বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।

কোনও অবস্থাতেই সোনার স্তর দিতে দেওয়া হবে না

পুরোহিতরা বলেছেন, কোনও অবস্থাতেই মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনার স্তর দিতে দেওয়া হবে না। ধামের তীর্থযাত্রী পুরোহিত অঙ্কুর শুক্লা জানান, জোর করে কাজ করা হলে এর বিরোধিতা করা হবে। সেই কারণে রাতের বেলায়ও মন্দিরের বাইরে পাহারা দিচ্ছেন তীর্থযাত্রী পুরোহিতরা।

সোনার প্রলেপ দিলে জাঁকজমক বাড়বে

বদ্রি-কেদার মন্দির কমিটির সভাপতি অজেন্দ্র অজয় ​​জানিয়েছেন, মন্দিরের গর্ভগৃহে কোনও হস্তক্ষেপ নেই। বর্তমানে মন্দিরের গর্ভগৃহে রুপোর স্তর রয়েছে, সেগুলি সরিয়ে সোনার স্তর প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর কোনও বিরোধিতা নেই। এর বিরোধিতা করছেন মাত্র কয়েকজন। মন্দিরের গর্ভগৃহ সোনা দিয়ে সজ্জিত হলে এর দেবত্ব ও মহিমা বৃদ্ধি পাবে।

Advertisement

তীর্থযাত্রী পুরোহিতরা অনশন করতে পারেন

কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনার অলঙ্করণ নিয়ে বহু দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রের এক দাতব্য ভ্রমণকারী রূপার বদলে সোনার প্রলেপ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তাতে রাজি হয়েছিল বদ্রী-কেদার মন্দির কমিটিও। বদ্রী-কেদার মন্দির কমিটির সভাপতি অজেন্দ্র অজয় ​​এ জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছেন। মন্দিরের অভ্যন্তরে রুপোর স্তর অপসারণের পরে, তামার স্তর পরীক্ষা হিসাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। তামার স্তর লাগিয়ে ডিজাইন, ফিটিং ইত্যাদি করা হবে। এই তামার স্তরগুলি ফিট হওয়ার সাথে সাথে সোনার স্তরগুলি প্রয়োগ করা হবে।

কেদারনাথ ধামের তীর্থযাত্রী পুরোহিতরা মন্দিরের ভিতরে সোনা রাখার কথা জানতে পেরে এর বিরোধিতা শুরু করেন। সোনার এই স্তরটি লাগানোর জন্য ড্রিল মেশিন দিয়ে মন্দিরের ভিতরেও গর্ত করা হচ্ছে। তীর্থযাত্রী পুরোহিতরা মন্দিরের দেয়ালে ছিদ্র করা নিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এবং এখন তারা এর বিরোধিতা করছেন। তীর্থস্থানের পুরোহিতরা বলছেন, প্রয়োজনে প্রতিবাদে অনশনও করা হবে।

Advertisement