scorecardresearch
 

Soaked Nuts benefits: বাদাম-আমন্ড ভেজানো না কাঁচা খেলে লাভ? ভেজালে ক'ঘণ্টা-কতখানি খাবেন

ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম এবং রিবোফ্লাভিন রয়েছে বাদামে। এছাড়া রয়েছে আয়রন, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং বি ভিটামিন, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং ফোলেটের মতো পুষ্টিগুণও। প্রতিদিনের ডায়েটে থাকলে উপকারই হবে। এছাড়া উপরিপাওনা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার। শরীরের জন্য ফ্যাটও দরকারি। কিন্তু ভেজানো বাদাম আদৌ স্বাস্থ্যকর? নিয়মিত খেলে কী লাভ?

Advertisement
ভেজানো বাদামের উপকারিতা। ভেজানো বাদামের উপকারিতা।
হাইলাইটস
  • ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম এবং রিবোফ্লাভিন রয়েছে বাদামে।
  • বাদামের পুষ্টিগুণ পেতে কীভাবে খাবেন?
  • ক'ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা জরুরি?

স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বাদাম, আমন্ড, ছোলার জুড়ি নেই। সুস্বাস্থ্যের জন্য সকলেই ডায়েটে সামিল করেন। ওজন কমাতে গেলেও বাদাম, আমন্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এতে থাকা ভাল ফ্যাট ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ শরীরের পক্ষে উপকারী। হঠাৎ খিদে পেলে অনেকে বাদাম, আমন্ড খেয়ে নেন। কিন্তু অনেকেই সঠিকভাবে বাদাম খান না। স্বাস্থ্যকর বলে অনেকে আবার অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম এবং রিবোফ্লাভিন রয়েছে বাদামে। এছাড়া রয়েছে আয়রন, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং বি ভিটামিন, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং ফোলেটের মতো পুষ্টিগুণও। প্রতিদিনের ডায়েটে থাকলে উপকারই হবে। এছাড়া উপরিপাওনা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার। শরীরের জন্য ফ্যাটও দরকারি। কিন্তু ভেজানো বাদাম আদৌ স্বাস্থ্যকর? নিয়মিত খেলে কী লাভ?

কতটা খাবেন?

বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কিন্তুটা কতটা খাওয়া উচিত? মানে ভাল বলেই তো আর মুঠো মুঠো খাওয়া যায় না। যে ব্যক্তিদের বিপাকীয় হার কম তাঁরা তো হজমই করতে পারবেন না। হজমশক্তি জোরদার, প্রতিদিন শরীরচর্চা করেন, নিরোগ থাকলে তাঁরা প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খেতে পারেন। হজমের সমস্যা থাকলে পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০টা বাদাম রাখুন ডায়েটে। একটা কথা মাথায় রাখবেন পরিমিত জল খাওয়াটা জরুরি। আমন্ড বা বাদাম খাওয়ার পর পর্যাপ্ত জল দরকার। 

অতিরিক্ত খেলে কতটা ক্ষতি? 

বাদাম বেশি খেয়ে ফেললে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। পেট মোচড় দিয়ে ওঠে। বদহজম, পেটে ভারী, জ্বালাভাবের সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি ডায়েরিয়া এবং ওজন বৃদ্ধিও হতে পারে। বাদাম, আমন্ডে থাকে ৮০ শতাংশ ফ্যাট। আর ফ্যাট হজম হতে সময় লাগে। সে কারণে হজমশক্তি অনুযায়ী বাদাম খাওয়া উচিত।  

কীভাবে খাবেন?

-আয়ুর্বেদ বলছে, বাদাম হজম করা কঠিন। এতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে। ফলে বাদাম খেলে শরীর গরম হয়ে ওঠে। যখনই খাবেন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ভিজিয়ে রাখলে তাপ অনেকটা কমে যায়। সেই সঙ্গে ফাইটিক অ্যাসিড/ট্যানিন অপসারিত হয়। ভেজানো বাদাম খেলে সহজেই পুষ্টিগুণ নিতে সক্ষম হয় শরীর। হজম তাড়াতাড়ি হয়। বদহজমের সমস্যা হয় না।

Advertisement

-ভিজিয়ে খেতে অপছন্দ হলে শুকনো বাদামই গুঁড়িয়ে নিন। সেই গুঁড়ো খেতে পারেন। 

-ভেজানো বাদাম থেকে ফাইবার, প্রোটিন, বিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস ইত্যাদি পুষ্টিগুণ পায় শরীর। হয় না হজমের সমস্যাও।

- যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন তাঁদের জন্যও কার্যকর বাদাম ও আমন্ড শরীরের ওজন কমাতে সক্ষম ভেজানো বাদাম। এতে থাকে লাইপেজ নামে এনজাইম।

- বাদাম ভিজিয়ে খেলে মস্তিষ্কও সক্রিয় হয়ে ওঠে। স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

- উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন। এমনটাই মনে করছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা। এতে থাকা ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

আরও পড়ুন- ডায়েট, শরীরচর্চা করেও কমছে না ওজন? এই ৬ ভুল করছেন না তো

Advertisement