scorecardresearch
 

Sevoke-Rangpo Railways: বড় খবর, ২০২৪-এর জানুয়ারিতেই সরাসরি যাওয়া যাবে সিকিম

Sevoke-Rangpo Railways: সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত এই নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কিমি লম্বা এবং ১৪টি টানেল, ২২টি ব্রিজ ও পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা বাজারে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন-সহ ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সমগ্র প্রকল্পটির প্রায় ৩৮ কিমি বিন্যাস টানেলের মাধ্যমে অতিক্রম হয়েছে, ইতিমধ্যে টানেল নির্মাণের প্রায় ৭৬ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ৬টি টানেলের খনন কার্য ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আরও কতগুলি খননের কাজ শেষ হওয়ার পথে।

Advertisement
বড় খবর, ২০২৪-এর জানুয়ারিতেই সরাসরি যাওয়া যাবে সিকিম বড় খবর, ২০২৪-এর জানুয়ারিতেই সরাসরি যাওয়া যাবে সিকিম
হাইলাইটস
  • শেষ টানেলের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে
  • ট্রেনে সরাসরি সিকিম পৌঁছনো সময়ের অপেক্ষা
  • ২০২৪ এর মধ্যেই চালুর পরিকল্পনা রেলপথের

Sevoke-Rangpo Railways: ২০২৪ সালের শুরুতে জানুয়ারি নাগাদ শিলিগুড়ি থেকে সিকিম রেল পরিষেবা চালু হয়ে যেতে পারে। আর তার মানেই দেশের অন্য অংশ থেকে সরাসরি ট্রেনে পৌঁছে যেতে পারবেন শৈলরাজ্যে।অর্থাৎ শিয়ালদা বা হাওড়া থেকে ট্রেনে বসে সোজা নামবেন সিকিমে। ফলে সিকিম পৌঁছনোর খরচ এক ধাক্কায় কমে গেল অনেকটাই। শিলিগুড়ি থেকে চড়া ভাড়া দিয়ে সিকিম পৌঁছতে হবে না। 

রেল (Indian Railways) পরিষেবার একটি বড় উপহার পেতে চলেছে সিকিম (Sikkim)। পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) ও সিকিমের মধ্যে সেবক-রংপো (Sevoke Rangpo) রেল প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। পশ্চিমবঙ্গের সেবক এবং সিকিমের রংপোর মধ্যে এই রেলপথটি নির্মিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এটি দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেবক-রংপোর মধ্যে টানেলের শেষ পর্যায়ের কাজ জোরকদমে চলছে। প্রজেক্ট ডিরেক্টর শ্রী মহিন্দর সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কাজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে।

তিনি সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন তিনি জানান, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের শুরুতেই উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট রাজ্য সিকিমের সঙ্গে রেল যোগাযোগের সমস্ত কাজ শেষ করে রেল দফতরকে হস্তান্তর করে দেওয়া হবে। প্রজেক্ট ডিরেক্টর জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই টানেল নম্বর ৩-এর ব্রেকথ্রু সম্পন্ন হয়েছে। মহেন্দ্র সিং বলেন, প্রকল্পটি ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এতে পাঁচটি স্টেশন রয়েছে। বাংলার তিস্তা বাজারে এর একটি ভূগর্ভস্থ স্টেশনও রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ১৪টি টানেল, ১৭টি রেল সেতু।

আরও পড়ুন

পুরো প্রকল্পের প্রায় ৩৮ কিলোমিটার টানেলের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে। একই সঙ্গে টানেল নির্মাণের প্রায় ৭৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়াও, ছয়টি সুড়ঙ্গ খনন সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও অনেকগুলি শেষ হওয়ার কাছাকাছি রয়েছে। অন্যান্য টানেলগুলির চূড়ান্ত কংক্রিট আস্তরণ সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সিকিম রাজ্যের যোগাযোগ বাড়ানোর আশা করছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রকল্প সিকিমের সামগ্রিক উন্নয়নে বড় অবদান রাখবে।

Advertisement

এই রেলপথের গুরুত্ব অপরিসীম

এই রেলপথ স্থাপন হলে এই রিজিয়নে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা হবে। প্রথমত এখানে পর্যটকদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। মাত্রাছাড়া গাড়িভাড়ার জন্য অনেকে বিপাকে পড়েন। যেহেতু এখন বিকল্প কিছু নেই। রেলপথ স্থাপন হলে বিকল্প বন্দোবস্ত হবে। যা গাড়িভাড়াকেও নিয়ন্ত্রণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের এই রুটে পর্যটন নতুন মাত্রা পাবে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষ গোটা দেশ থেকে এই এলাকায় পৌঁছে যাবেন কম খরচে। দ্বিতীয়ত সামরিক ও প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে অনেক বেশি  নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। সিকিমের নাথুলায় (Nathula) তিব্বত (Tibet)  (চিন, China) সীমান্তে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। আপাতত সিকিম-বাংলা সীমান্তে রংপোতে স্টেশন তৈরি করে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও পরবর্তীতে গ্যাংটক (Gangtok) ও শেষমেষ নাথুলা সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে আপাতত সেবক-রংপো রেলপথ দ্রুত চালু করতে উদ্যোগী সরকার।

সেবক

গোটা রেলপথের চালচিত্র

সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত এই নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কিমি লম্বা এবং ১৪টি টানেল, ২২টি ব্রিজ ও পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা বাজারে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন-সহ ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সমগ্র প্রকল্পটির প্রায় ৩৮ কিমি বিন্যাস টানেলের মাধ্যমে অতিক্রম হয়েছে, ইতিমধ্যে টানেল নির্মাণের প্রায় ৭৬ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ৬টি টানেলের খনন কার্য ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আরও কতগুলি খননের কাজ শেষ হওয়ার পথে। অন্যান্য টানেলের ফাইনাল কংক্রিট লাইনিং-এর কাজও শুরু হয়েছে। ২০২৪-এর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে বর্তমানে টানেল, ব্রিজ ও স্টেশন নির্মাণ সম্পর্কিত সমস্ত কার্যকলাপ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চালানো হচ্ছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই হয়েছিল শিলান্যাস

প্রসঙ্গত এই রেলপথের পরিকল্পনা ও শিলান্যাস হয়েছিল ২০০৯ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী (Rail Minister) তথা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (West Bengal Chief Minister Mamta Banerjee) হাত ধরে। পরে তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলে এ নিয়ে আর কাজ এগোয়নি। দীর্ঘ বছর পর নতুন কেন্দ্রীয় সরকার গঠন হওয়ার পর ফের কাজ শুরু হয়েছে যা এখন শেষের পথে।

 

Advertisement