BJP-র সংসদীয় বোর্ড ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (CEC) থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari) ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে (Shivraj Singh Chauhan)। একই সঙ্গে সংসদীয় বোর্ডে একাধিক নতুন মুখকেও তুলে আনলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।
বিজেপি-র সংসদীয় বোর্ডে আনা হল বিএস ইয়েদুরাপ্পা, সুধা যাদব, একবাল সিং লালপুরা, সর্বানন্দ সোনওয়াল, কে লক্ষ্মণকে। এঁরা সংসদীয় বোর্ডে নতুন।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিজেপি-র নয়া সংসদীয় বোর্ড কারা আছেন?
জেপি নাড্ডা (অধ্যক্ষ), নরেন্দ্র মোদী, রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, বিএস ইয়েদুরাপ্পা, সর্বানন্দ সোনওয়াল, কে লক্ষ্মণ, একবাল সিং লালপুরা, সুধা যাদব, বিএল সন্তোষ (সচিব)।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন সমিতিতেও বদল ঘটিয়েছে বিজেপি। দেখে নেওয়া যাক বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নির্বাচন সমিতিতে কারা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের কঠোর নীতি, দেশে ছোট গাড়ি বিক্রি বন্ধ করে দিতে পারে Maruti Suzuki!
জেপি নাড্ডা (অধ্যক্ষ), নরেন্দ্র মোদী, রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, বিএস ইয়েদুরাপ্পা, সর্বানন্দ সোনওয়াল, কে লক্ষ্মণ, একবাল সিং লালপুরা, সুধা যাদব, সত্যনারায়ণ জটিয়া, ভুপেন্দ্র যাদব, দেবেন্দ্র ফড়নবীশ, বিএল সন্তোষ, বি শ্রীনিবাসন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন তালিকা রাজনৈতিক ভাবে তাত্পর্যপূর্ণ। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে জোট সরকার গড়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: Sunil Bansal: BJP-র UP জয়ের সেনাপতিকে বাংলার দায়িত্ব, কে সুনীল বনসল?
কিছু নেতার পুনর্বাসন?
কেন গড়করিকে সরে যেতে হলে, তা স্পষ্ট নয়। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পাকে একসময় কার্যত মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে তাঁকে খুশি করতেই সংসদীয় বোর্ডের সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে অসমে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে জায়গা করে দেওয়া সর্বানন্দ সোনওয়ালকে খুশি করতেই তাঁকেও সংসদীয় বোর্ডে জায়গা দেওয়া হয়েছে। দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে ইলেকশন কমিটিতে যায়গা দেওয়াটাও তাঁকে খুশি করারই চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মহারাষ্ট্রে ডেপুটি চিফ মিনিস্টারের পদ নিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্রকে বাধ্য করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত তাঁকে খুশিই করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শাহনাওয়াজ হুসেনের ডাবল ধাক্কা
শাহনাওয়াজ হুসেন একসময় বিজেপি-র কেন্দ্রীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ২০২০ সালে যখন বিহারে জেডিইউ-র সঙ্গে জোট সরকার গড়ল বিজেপি, শাহনাওয়াজকে দিল্লি থেকে পটনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ক্যাবিনেট মন্ত্রীও হন। এখন বিহারে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে। মন্ত্রীপদ গেছে। শাহনাওয়াজকে দলের নির্বাচনী সমিতি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল।