রবিবার যন্তর মন্তরে কুস্তিগীরদের চলমান বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশ যন্তর মন্তর থেকে নতুন সংসদ ভবনের দিকে মিছিল করতে যাওয়া কুস্তিগীরদের আটক করেছে। দিল্লি পুলিশ যন্তর মন্তর থেকে কুস্তিগীরদের তাঁবুও সরিয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি টুইট করেছেন, 'রাজ্যাভিষেক শেষ-'অহংকারী রাজা' রাজপথে জনতার কণ্ঠস্বর পিষে দিচ্ছেন!'
কুস্তিগীরদের সমর্থনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও টুইট করেছেন, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট করে বলেছেন, 'খেলোয়াড়দের বুকে পদক আমাদের দেশের গর্ব। সেই পদকগুলোর সঙ্গে দেশের সম্মান বাড়ে খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রমে। বিজেপি সরকারের দাম্ভিকতা এতটাই বেড়েছে যে সরকার নির্দয়ভাবে আমাদের মহিলা খেলোয়াড়দের কণ্ঠকে বুটের তলায় পদদলিত করছে। এটা একেবারেই অন্যায়, সরকারের ঔদ্ধত্য আর এই অবিচার দেখছে গোটা দেশ।'
প্রকৃতপক্ষে, ২৩ এপ্রিল থেকে যন্তর মন্তরে ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী কুস্তিগীররা নতুন সংসদ ভবনে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার ঘোষণা করেছিলেন। কুস্তিগীররা পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ১১.৩০ মিনিটে নতুন সংসদ ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কুস্তিগীরদের থামাতে ব্যারিকেড দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ।
মল্লিকার্জুন খাড়গে কুস্তিগীরদের সমর্থন করেছেন
অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও কুস্তিগীরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ট্যুইট করেছেন। কুস্তিগীরদের সমর্থন করে তিনি লিখেছেন, 'নতুন সংসদ উদ্বোধনের অধিকার রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, মহিলা খেলোয়াড়দের রাজপথে পিটিয়ে স্বৈরাচারী বিজেপি-আরএসএস শাসকদের ৩টি মিথ্যা এখন দেশের সামনে উন্মোচিত হয়েছে। ১ গণতন্ত্র, ২ জাতীয়তাবাদ, ৩ কন্যাকে বাঁচান...মনে রাখবেন মোদীজি।'
হেমন্ত সোরেন অ্যাকশনটিকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'ভারতের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীরদের উপর এমন নৃশংস এবং লজ্জাজনক আক্রমণ দেখে দুঃখ হয়, আমাদের জাতীয় গর্ব। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের মাধ্যমে বিচার দাবি করাই তাঁদের অপরাধ। আমি এই আটকের তীব্র নিন্দা করছি এবং অবিলম্বে তাঁদের মুক্তি দাবি করছি।'
এই ঘটনায় ট্যুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লিখেছেন,'দিল্লি পুলিশ যেভাবে সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট এবং অন্যান্য কুস্তিগীরদের মারধর করেছে তার তীব্র নিন্দা। এটা লজ্জাজনক যে আমাদের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে। গণতন্ত্র সহনশীলতার মধ্যে নিহিত। কিন্তু স্বৈরাচারী শক্তি অসহিষ্ণুতা এবং ভিন্নমতকে দমন করার উপরই উন্নতি লাভ করে। অবিলম্বে পুলিশের কাছে তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমি আমাদের কুস্তিগীরদের পাশে আছি।'