কংগ্রেস সভাপতি পদের লড়াই (Congress President Election 2022) থেকে সরে দাঁড়ালেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Rajasthan CM Ashok Gehlot)। গেহলট বুধবার রাতেই দিল্লি পৌঁছন। আজ তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকের পরেই গেহলট কংগ্রেস সভাপতি পদের দৌড় থেকে সরে যাওয়ার কথা জানান। গেহলট বলেন, 'রাজস্থানে কংগ্রেস বিধায়কদের বিদ্রোহের জন্য আমি সোনিয়া গান্ধীর কাছে ক্ষমা চেয়েছি। দিন দুয়েক আগে যা ঘটেছিল, তা আমাদের হতবাক করে দিয়েছিল। আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে চেয়েছি বলেই এটা ঘটেছে, এমনই বার্তা গিয়েছে। যার জন্য আমি সোনিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকব কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সোনিয়া গান্ধী।'
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে (Ashok Gehlot) নির্বাচনে শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল কিন্তু রাজস্থান সরকারের অন্দরে ফাটলের কারণে তিনি লড়াইয়ে নামবেন কি না, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। গেহলট কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে শচিন পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে আনা হবে, এটাই মূলত ঠিক করেছিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। যদিও গেহলটপন্থী অন্তত ১০০ জন বিধায়ক শচিনকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার বিরোধী।
এদিকে, কংগ্রেস সভাপতি পদের লড়াইয়ে নামলেন আরও এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং (Digvijaya Singh) বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে তিনি কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আজ তিনি মনোনয়ন পত্র (Nomination Form) তুলেছেন। আগামীকাল তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। দিগ্বিজয় বলেন, 'আজ আমি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে এসেছি। আগামীকাল এটা জমা দেব। আমার দিল্লিতে আসার কোনও পরিকল্পনা ছিল না, তবে এই নির্বাচনের কারণে আমি দিল্লিতে আসছি।' মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় দাবি করেছেন যে তিনি কংগ্রেস সভাপতি (Congress President) পদে নির্বাচনে লড়াইয়ের বিষয়ে গান্ধী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেননি। তিনি নিজেই নির্বাচন লড়ার এবং মনোনয়ন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুক্রবারই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আরেক কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের (Shashi Tharoor)। এখন দিগ্বিজয় আসায় কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। দিগ্বিজয় সিং রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন। কন্যাকুমারী থেকে শুরু হওয়া যাত্রাটি কাশ্মীরে গিয়ে শেষ হবে।