"বিজেপি চাইছে রাহুল গান্ধীকে বিরোধীদের মুখ বানাতে, তাহলে আগামী দিনে মোদীজির (Narendra Modi) ভোটে লড়তে সুবিধা হবে", বৃহস্পতিবার দলের বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) বলেন, "রাহুল গান্ধী বিদেশে একটি মন্তব্য করেছেন, আর সেই মন্তব্য নিয়ে তিনি ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত, সংসদ চালাতে দিচ্ছে না বিজেপি। এই জন্য গতকাল আমরা কালো কাপড় মুখে বেঁধে স্পিকারের সামনে গিয়ে বলি, আমাদের বলতে দিন। আজ পরিস্থিতি এমন যে, বিজেপি রাহুল গান্ধীর ইস্যুতে দেখানোর চেষ্টা করছে যে, তিনিই বিরোধী। আমি আজ মিটিংয়ে বলেছি, বিজেপি চাইছে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) বিরোধীদের মুখ বানাতে, তাহলে আগামী দিনে মোদীজির ভোটে লড়তে সুবিধা হবে"।
এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandyopadhyay) আরও বলেন, "আমরা এখনই থার্ড ফ্রন্ট গঠনের কথা বলছি না, তবে যে আঞ্চলিক দলগুলির বিজেপিকে রোখার ক্ষমতা আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন দলনেত্রী। আমরা বলছি আগে নির্বাচন হতে দিন। যে রাজ্যে যার ক্ষমতা, সেখানে তারা লড়ুক। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যের দর্শন। প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে এখনই কোনও নাম বলার দরকার নেই। নির্বাচনের পর পরিস্থিতি দেখে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে"।
এদিন কংগ্রেস বিজেপি ও সিপিআইএম-কে এক বন্ধনীর মধ্যে রেখে নিশানা করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। 'তৃণমূল বিজেপির বি টিম', কংগ্রেসের এই অভিযোগ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সুদীপ বলেন, "কংগ্রেস বিজেপির সি টিম। কংগ্রেস সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করছে না। তারা বিরোধীদের বিগবস হওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের উচিত আঞ্চলিক দলগুলিকে যথার্থ সম্মান দেওয়া। তা তারা দিচ্ছে না"। একইসঙ্গে বাংলায় কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিআইএম, বিশেষত কোথাও কোথাও সিপিআইএম ও কংগ্রেস মিলে রাজ্য সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন সুদীপ। অন্যদিকে দুর্নীতির ক্ষেত্রে দলের নীতি যে 'জিরো টলারেন্স' তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল সাংসদ।
আরও পড়ুন - ওড়িশা যেতে পারেন মমতা, নবীনের সঙ্গে বৈঠক-জল্পনা; নয়া সমীকরণ?