বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন লক্ষ্য দিল্লি। ক্ষমতা দখলের পরই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই লক্ষ্যে আরও এককদম এগোলেন তিনি। আর সেই জন্য ব্যবহার করছেন একুশের মঞ্চকে।
আগেই শোনা গিয়েছিল এ'বছর মমতার একুশে বক্তব্য একাধিক রাজ্যে শোনা যাবে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই তালিকায় রয়েছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, অসম ও ত্রিপুরা। তবে সবথেকে বড় চমক গুজরাত। বিধানসভা নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড সংখ্যকবার এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁরা দু'জনেই গুজরাতের। আর সেই গুজরাতে এবার ভাষণ শোনা যাবে তৃণমূল নেত্রীর। তৃণমূল সূত্রে খবর, মোদীর খাসতালুকে ৩২টি জেলায় একুশের ভাষণ শোনা যাবে। সেজন্য লাগানো হবে ৫০টি জায়ান্ট স্ক্রিন।
কেন গুজরাতে ভাষণ শোনানোর পরিকল্পনা তৃণমূল নেত্রীর? এই বিষয়ে দলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'গুজরাত তো মোদীর একার রাজ্য নয়। দেশেরই অঙ্গ। তাই সেখানে যে কোনও রাজনৈতিক দল কর্মসূচি রাখতে পারে। আমরাও রেখেছি।'
আরও পড়ুন : ভবানীভবনে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের উপর লাঠিচার্জ পুলিশের, চরম উত্তেজনা
গুজরাত-সহ বিভিন্ন রাজ্যে একুশের ভাষণ শোনানোর পিছনে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে তাও স্বীকার করে নেন সৌগতবাবু। তাঁর কথায়, 'আমরা আগেই বলেছি, সংগঠনকে মজবুত করতে চাই। গোটা দেশে তৃণমূলের আদর্শ-ভাবনা প্রসারিত হোক এটাই আমাদের লক্ষ্য। তারই পদক্ষেপ হিসেবে একুশের ভাষণ একাধিক রাজ্যে শোনানোর পরিকল্পনা।'
একুশের মঞ্চকে ব্যবহার করে মোদীর রাজ্যে পৌঁছে যাওয়াকে মমতার বড় রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, দেশে এখন মোদী বিরোধী প্রধান মুখ মমতা। সেটা তিনি রাজ্যের ভোটের ফলাফলেই প্রমাণ দিয়েছেন। কিন্তু, গুজরাতকে ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি সরাসরি মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবেন। জাতীয় রাজনীতিতে এই বার্তা পৌঁছে দিতে পারবেন যে, ২৪-এর লোকসভায় তিনিই BJP-র প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন।