scorecardresearch
 

'ত্রিপুরায় খেলা শুরু, ১৫ দিন অন্তর আসব, সরকার গড়বই'; চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

ত্রিপুরায় ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক। আর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই BJP-র নাম করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তিনি।

Advertisement
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
  • একুশের ভোটে এই রাজ্যে ফের ক্ষমতা দখলের পর দলের তরফে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন অভিষেক
  • তারপর এই প্রথম ত্রিপুরা গেলেন তিনি

২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের ভোটে এই রাজ্যে ফের ক্ষমতা দখলের পর দলের তরফে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন অভিষেক। তারপর এই প্রথম ত্রিপুরা গেলেন তিনি। আর প্রথম দিনের সাংবাদিক বৈঠকেই BJP বিরোধী সুর বেঁধে দিলেন। BJP-র নাম করেই চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তিনি। 

বললেন, 'আমি মাসে তিনবার বা ১৫ দিন অন্তর আসব। আজ আমাকে রাস্তায় আটকানোর চেষ্টা হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। পারলে আমাকে আটকে দেখাক বিপ্লব দেবের সরকার। ২৩ সালের ভোটে ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। আমরা আজ থেকেই খেলা শুরু করে দিলাম। পারলে আমাদের আটকে দেখাক ওরা। আমি দিল্লির নেতাদেরও চ্যালেঞ্জ করছি। আপনারা যতবার এখানে আসবেন, তার থেকে বেশিবার এই রাজ্যে আসব।' 

আরও পড়ুন : 'অভিষেকের সৌভাগ্য ত্রিপুরায় ঢুকতে দেওয়া হয়েছে', বিস্ফোরক সায়ন্তন

BJP-কে আক্রমণ 

আজ সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে প্রথম থেকেই BJP-র বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখতে শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আধ ঘণ্টারও বেশি সময়ের বক্তব্য রাখেন তিনি। মোদী-শাহ থেকে শুরু করে বিপ্লব দেব সবাইকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, 'বিজেপি হিন্দু ধর্মের ধারক ও বাহক বলে দাবি করে। অথচ ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে ওরা আমাকে পৌঁছতে বাধা দিয়েছে। আমার গাড়িতে হামলা হয়েছে। লোহার রডে মারা হয়েছে। আমার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা জখম হয়েছেন। ১০০ মিটার ছাড়া ছাড়া রোড অবরোধ। এটাই কি এই রাজ্যের গণতন্ত্রের নমুনা ?'

তারপরই অভিষেকের হুঁশিয়ারি, 'আমাদের এভাবে আটকানো যাবে না। আমরা লোহা। যত তাতাবে, ততই শক্ত হব। আমরাই ত্রিপুরায় মুক্তির সুর্যোদয় ঘটাব। যে ভালোবাসা ও ঋণে আমাদের আবদ্ধ করেছে ত্রিপুরার মানুষ তাতে আমি কৃতজ্ঞ।' 

Advertisement

ত্রিপুরার আইন-শৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্র সরকার ও বিপ্লব দেবের সরকারকে আক্রমণ করেন অভিষেক। পরিষ্কার করে দেন, ২৩ এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করেই তিনি এখানে এসেছেন। বলেন, 'ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের নমুনা দেখলাম। আমি একজন সাংসদ। অথচ আমার উপর এতবার সাংসদের উপর এমন আক্রমণ করা হল। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়, সেই প্রশ্ন উঠছে। তবে লড়াই সবে শুরু হল। অনেকদূর যাবে। ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূল পা রেখেছে। তাতেই বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই আমরা ত্রিপুরায় সরকার প্রতিষ্ঠা করবই।  পশ্চিমবঙ্গে যে সব কর্মসূচি রয়েছে সব ত্রিপুরায় হবে। এখন এখানে দুয়ারে গুন্ডা এসেছে। জল্লাদদের উল্লাস মঞ্চে পরিণত করেছে। তৃণমূলের কর্মীরা লড়াই চালাবে। পারলে বিপ্লববাবুরা আমাদের আটকে দেখাবেন। যাঁরা ভাবেন, আমার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেবেন তাঁরা পারবেন না। বাংলাতেও চেষ্টা করেছিল। মুখ থুবড়ে পড়েছিল।'

আরও পড়ুন : 'ত্রিপুরার গণতন্ত্র বিপন্ন, মানুষ জবাব দেবে', হুঁশিয়ারি অভিষেকের

বামেদের প্রশংসা 

মানিক সরকারের বাম সরকারের প্রশংসা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'BJP আসার আগে বামেদের আমলে ত্রিপুরার  পরিস্থিতি এতটা খারাপ ছিল না। তখন আইন-শৃঙ্খলার এতটা অবনতি হয়নি। তবে এখন এখানে গুন্ডারাজ চলছে। আর আমরা এর থেকে মুক্তি দেব এই রাজ্যের মানুষকে।' 

ত্রিপুরাবাসীর জন্য ঘোষণা 

পশ্চিমবঙ্গে যে যে প্রকল্প তৃণমূল সরকার চালাচ্ছে, সেই সব ত্রিপুরাতেও চালি করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন বিপ্লব দেব। বলেন, 'এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের সব প্রকল্প আমরা ত্রিপুরাকে দেব।  ৮ জেলা রয়েছে এখানে। ৩৩২৪টি বুথ রয়েছে। এই বছরের শেষের মধ্যে তৃণমূলের কমিটি গড়ব। কে কোন দায়িত্বে আসবে, সেই সব ভাগ করে দেওয়া হবে।'
 

Advertisement